চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় একটি সুগার মিলে (চিনির কারখানা) লাগা আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। কারখানাটিতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনী কাজ করছে। সোমবার (৪ মার্চ) বিকেল চারটার দিকে আকস্মিকভাবে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট তিন ঘণ্টার বেশি সময় চেষ্টা করেও আগুন নেভাতে পারেনি। তারা চেষ্টা করছে আগুন যাতে ছড়িয়ে না পড়ে।
এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজের পাওয়ার প্লান্টের সহকারী ফিটার মনির জানান, ওই গুদামে প্রায় ১ লাখ টন অপরিশোধিত চিনি ছিল। এগুলো পুড়ে গেছে। কাছেই পরিশোধিত চিনি আছে আরও কয়েক লাখ টন।
একজন কর্মকর্তা জানান, ফায়ার সার্ভিস গুদামের উপর থেকে পানি ছিটাতে পারছে না। পাশে কিন্তু নদী রয়েছে। পানির অভাব নেই। হেলিকপ্টারের সাহায্যে আগুন নেভানো হলে হয়তো ফিনিশড গুডের গুদাম রক্ষা করা যাবে।
সূত্র জানায়, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও থাইল্যান্ড থেকে চিনির কাঁচামাল এনে পরিশোধন করা হয় দুইটি প্লান্টে। এর মধ্যে প্লান্ট ১ এর উৎপাদন ক্ষমতা দৈনিক ৯০০ টন, প্লান্ট ২ এর উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ৬০০ টন। থাইল্যান্ড ও ফ্রান্সের প্রযুক্তি ও কারিগরি সহায়তায় এ কারখানাটি পরিচালিত হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কফিল উদ্দিন বলেন, আগুন এখনো নির্বাপণ করা সম্ভব হয়নি। তবে আগুন ওই কারখানা থেকে ছড়ানোর আশঙ্কা নেই। চিনি পুড়ে গলে গেছে, সেটি এখনো জ্বলছে।