কর্ণফুলী প্রতিনিধি »
তথ্য অধিকার আইন একটি আলোকিত আইন। এ আইনের মাধ্যমে অবাধ তথ্যের আদান প্রদানের মাধ্যমে রাষ্ট্রের সাথে জনসাধারণের দূরত্ব নিরসন করা যায়। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ হলরুমে ইউএনও সৈয়দ শামসুল তাবরীজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত তথ্য অধিকার আইন-২০১৯ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য অধিকার আইনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে তথ্য কমিশনার সুরাইয়া বেগম (এনডিসি) বলেন, তথ্য প্রাপ্তির অধিকার দেশের প্রত্যেক নাগরিকের রয়েছে। ১৬ কোটি মানুষকে এ তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে জানতে হবে। সরকারি কর্মকর্তারা কে কি কাজ করবেন করছেন তা ও জানাতে হবে জনগণকে। স্বচ্ছ প্রশাসন, দুর্ণীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স বাস্তবায়নেই মূলত এ আইন কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে।
তিনি আরো বলেন, স্ব উদ্যোগে তথ্য জানাতে হবে জনগণকে। জনগণ প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক ও জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা আবশ্যক। যেহেতু জনগণের তথ্য নিশ্চিত করা হলে, সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এবং সরকারী ও বিদেশী অর্থায়নে সৃষ্ট বা পরিচালিত বেসরকারি সংস্থার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাবে।
বর্তমানে বিশ্বের ১২২ টি দেশে তথ্য অধিকার আইন প্রচলিত রয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ২২ তম। প্রশিক্ষনের বিশেষ অতিথি তথ্য কমিশনার ও পরিচালক (গ.প্র. ও প্র) ড. মোঃ আব্দুল হাকিম জানান, তথ্য অধিকার আইন সুষ্ঠভাবে বাস্তবায়িত হলে, দুর্নীতি প্রতিরোধের পাশাপাশি দেশ উন্নয়নের পথে আরো একধাপ এগিয়ে যাবে। এ সময় কর্মশালাটিতে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফারুক চৌধুরী।
এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক সহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। প্রশিক্ষণ কর্মশালাটিতে তথ্য অধিকার আইন কি, তথ্য পাওয়ার নিয়মাবলী, কোন কোন ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ তথ্য দিতে বাধ্য নয়, তথ্য দিতে অনীহা প্রকাশ করলে আপীল সহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা সহ তথ্য অধিকার আইনের সার্বিক বিষয় তুলে ধরে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। প্রশিক্ষণ আয়োজনে ছিলেন উপজেলা প্রশাসন কর্ণফুলী ও তথ্য কমিশন।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর/বি