চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় হাতির আক্রমণে এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় কেইপিজেড পাহাড় থেকে বন্যহাতি অপসারণের দাবীতে ৬ ঘন্টা অবরোধের পরে প্রশাসনের আশ্বাসে সড়কের অবরোধ তুলে নিয়েছে স্থানীয়রা।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শাহামীরপুর গ্রামে (২১) মার্চ শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে হাতির আক্রমণে ৩ মাস বয়সী এক আরমান জাওয়াদ নামে একজন শিশু নিহত হয়।সে এলাকার মো. ইব্রাহিমের ছেলে।এ ঘটনায় শিশুটির মা খজিমা বেগম (৩০) গুরুত্বর আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এই ঘটনায় নিহত শিশু আরমান জাওয়াদের লাশ নিয়ে কর্ণফুলী উপজেলার পিএবি সড়ক দৌলতপুর কেইপিজেড মূল গেইটসহ পুরো রাস্তা অবরোধ করে রাখে স্থানীয়রা।তার মধ্যে সকাল ১০ টার দিকে সড়কেই হাতির আক্রমণে মৃত্যু হওয়া শিশু আরমান জাওয়াদের নামাযে জানাযা রাস্তার উপরে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে শনিবার সকাল ৭টা থেকে চলা অবরোধ কর্মসূচি প্রায় ৬ ঘন্টার অবরোধ শেষে প্রশাসনের আশ্বাসে তা প্রত্যাহার করে সড়ক থেকে সবাই যার যার বাড়িতে চলে যায়।
দীর্ঘ সময় অবরোধের ফলে সড়কের উভয় দিকের প্রায় আট কিলোমিটার রাস্তায় দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়।ঘণ্টার পর ঘণ্টা পিএবি সড়কে বন্ধ থাকে যান চলাচল।যার ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে আশপাশের সড়কগুলোতেও।ভোগান্তিতে পড়েছিলেন সাধারণ চাকুরীজীবি সহ কেপিজেডের কয়েক হাজার শ্রমিকরা।
স্থানীয়রা জানান,একের পর এক হাতির আক্রমণে মানুষের মৃত্যু হলেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেনা দেখে আমরা পথে নামতে বাধ্য হলাম।এই কেইপিজেড এলাকা থেকে হাতিগুলো সরানো না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলতে থাকবে।উপজেলা প্রশাসন,বন বিভাগ ও কেপিজেড কর্তৃপক্ষকে এই নিশ্চয়তা দিতে হবে।নিহত শিশুটির বাবা ইব্রাহিম বলেন,রাতে আমার বাড়িতে আক্রমণ করে হাতি।জীবন বাঁচাতে আমার স্ত্রী খাদিজা সন্তানকে নিয়ে ঘর থেকে বের হলে হাতি শুঁড় দিয়ে আঘাত করে তাকে মাটিতে ফেলে দেয়।ওখানেই আমার ছেলে মারা যায়।হাতি আমার ছেলেকে হত্যা করেছে এবং আমার স্ত্রীকে আহত করেছে।হাতির আক্রমণে যাতে আর কোনো মৃত্যু না হয়,সেজন্য আমি ব্যবস্থা চাই।হাতিগুলোকে অবিলম্বে সরাতে হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ বলেন,হাতির আক্রমণে শিশু নিহতের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে তার পরিবার ও এলাকাবাসী সড়ক অবরোধ করে।উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বোঝানোর পর সমাধানের আশ্বাসে অবরোধ ছেড়ে দেয়।এখন পরিস্থিতি ও যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।