আসমা আক্তার প্রিয়া »
প্রতিটি ঋতুর রয়েছে আলাদা রূপ-বৈচিত্র্য। বৈশ্বিক উষ্ণতা আর জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে প্রকৃতি যখন তার চিরায়ত রূপ হারাচ্ছে। তখন কর্ণফুলী নদী ঘেঁষে গড়ে উঠা কল্পলোক আবাসিক এলাকা ঢেকে গেছে কাশফুলে। আবার সেই কাশফুল মন কাড়ছে প্রকৃতিপ্রেমীদের।
কর্ণফুলী নদী ঘেঁষে গড়ে উঠা কল্পলোক আবাসিকের চারপাশে তাকালেই দেখা যাবে বাতাসে দোল খাচ্ছে সাদা কাশফুল। এ যেন নীল আকাশে সাদা মেঘের সাথে নদীর ধারে থোকা থোকা কাশফুলের নিবিড় মেলবন্ধন। এরমধ্যে কখনো মিষ্টি রোদে আলোর খেলা আবার কখনো হঠাৎ বৃষ্টির হানা। মাঝে সাজেই দেখা যায় রৌদ্র মেঘের লোকুচুরি খেলা।
এখানে শুভ্রতা ছড়াচ্ছে শরতের কাশফুল। পড়ন্ত বিকেলে রোদ-বৃষ্টির লুকোচুরি উপেক্ষা করে যান্ত্রিক পরিবেশকে পেছনে ফেলে প্রকৃতির কাছ থেকে একটু প্রশান্তি পেতে কল্পলোক আবাসিকে ছুটে আসেন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
কর্ণফুলী নদী ঘেঁষা পুরো আবাসিক থোকা থোকা কাশফুলে সাদা হয়ে গেছে। ঘুরতে আসা প্রকৃতিপ্রেমীরা কেউ ছবি তুলছে আবার কেউ কেউ দলবদ্ধ হয়ে কাশফুলের মাঝে গল্পে মেতেছেন। আবার এলাকাটি নদীর ধারে হওয়ায় বাতাসে শরীর মন জুড়িয়ে যাচ্ছে।
শুধু তাই নয়, অক্সিজেন-কুয়েশ রোড ঘেঁষে গড়ে ওঠা অনন্যা আবাসিকেও ফুটে আছে কাশফুল। বিকেল হলে কাশফুলের ছোঁয়া নিতে সেখানেও ছুটে আসেন প্রকৃতিপ্রেমীরা।
কল্পলোক আবাসিকে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের অনেকের সাথে কথা হয়। তারা জানান, কাশফুল শরতের আগমনী বার্তা নিয়ে আসে। কর্ণফুলী নদী ঘেঁষা কল্পলোক আবাসিকে থোকা থোকা কাশফুল দেখে মনজুড়ে যায়। তাই ফ্যামিলি নিয়ে ঘুরতে চলে আসলাম। বাচ্চারা সারি সারি কাশফুল দেখে আনন্দে মেতে উঠছে। এসে খুব ভালোই লাগছে।
বিকালে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে আসা পোর্ট সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী নওশীন বলেন, কাশফুল আমার খুব পছন্দ। ছোট বেলায় রাস্তার ধারে কাশফুলের দেখা মিলতো। তা এখন দেখা যায় না বললেই চলে। কল্পলোক আবাসিকে কাশফুল ফুটছে খবর পেয়ে দেখতে চলে আসলাম।