অনেক আগেই ইউরো কাপের তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ অবলুপ্তি ঘটলেও কোপা আমেরিকাতে এখনও তা বিদ্যমান। দুই ফাইনালিস্ট নির্ধারণ হলে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী লড়াইয়ের ফল নিয়ে খুব একটা আলোচনাও হয় না। এই নিয়মরক্ষার ম্যাচেও রোমাঞ্চকর এক লড়াই উপহার দিলো উরুগুয়ে ও কানাডা। নির্ধারিত সময়ের খেলা ২-২ গোলে ড্র হওয়ার পর ম্যাচ সরাসরি টাইব্রেকারে গড়ায়। কানাডার দুই খেলোয়াড়ের ব্যর্থতায় উরুগুয়ে ৪-৩ গোলে জয় পায়। এ নিয়ে দশমবারের মতো কোপায় তৃতীয় হলো ১৫ বারের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে।
ম্যাচের অষ্টম মিনিটে উরুগুয়েকে এগিয়ে নিয়েছিলেন রড্রিগো বেন্টানকুর। তবে এ ব্যবধান তারা ধরে রাখতে পারেনি। প্রথমার্ধেই কানাডার হয়ে সমতায় ফেরান ইসমাইল কোনো। দ্বিতীয়ার্ধের প্রায় পুরোটা সময় গোলের চেষ্টা করেও এগিয়ে যেতে পারছিল না দুই দলই। অবশেষে ৮০ মিনিটে কানাডাকে এগিয়ে দেন জোনাথন ডেভিড। তার এই গোলেই দারুণ এক জয়ের স্বপ্ন দেখছিল কানাডা।
তবে বদলি হিসেবে নেমে অবিশ্বাস্য এক প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখলেন লুইস সুয়ারেজ। ৯২ মিনিটে দারুণ এক গোলে ম্যাচে সমতা ফেরান তিনি। উরুগুয়ের হয়ে তিনিই সবচেয়ে বেশি বয়সে গোল করার ইতিহাস গড়লেন। নির্ধারিত সময়ে ২-২ গোলে ড্রয়ে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে ৪-৩ ব্যবধানে জয় পেয়েছে লুইস সুয়ারেজের উরুগুয়ে।
টাইব্রেকারে প্রথম দুই শটে গোল করে দুই দল। তৃতীয় শটে গিয়ে পেনাল্টি মিস করেন কানাডার কোন। পঞ্চম শট মিস করেন কানাডার আলফানসো ডেভিস। নিজেদের ৪ শটে গোল করেই জয় নিশ্চিত করে উরুগুয়ে। পেনাল্টি শটে গোল করেন সুয়ারেজও। এই জয় দিয়েই খুব সম্ভবত উরুগুয়ের জার্সিতে শেষ ম্যাচ খেলে ফেললেন সুয়ারেজ।