বাংলাধারা ডেস্ক »
ভারতের মুসলিমপ্রধান কাশ্মীর রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর যে উত্তেজনা চলছে, তার মধ্যে বাংলাদেশে কেউ ‘জল ঘোলা’ করতে চাইলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। খবর বিডিনিউজের।
তিনি বলেছেন, “কাশ্মীর ইস্যু ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাদের নিজস্ব বিষয়ে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই। আমরা আশা করব, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় কিংবা কাশ্মীরের বিষয় নিয়ে কোনো সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ আমার দেশের পানি ঘোলা করার চেষ্টা করবেন না। এরপরও যদি কেউ সে চেষ্টা করে, তবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ঈদযাত্রা ও ছুটিতে নিরাপত্তায় র্যাবের প্রস্তুতি জানাতে শুক্রবার ঢাকার কারওয়ান বাজারে বাহিনীর মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর কাশ্মীরে ক্ষোভ-বিক্ষোভ চলছে। নয়া দিল্লির সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত করেছে। কাশ্মীরিদের পক্ষে বাংলাদেশেও বিভিন্ন সংগঠন প্রতিবাদে শামিল হয়েছে।
কাশ্মীর নিয়ে মুসলিম উগ্রবাদী গোষ্ঠী সুযোগ নিতে পারে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা মনে করছেন।
র্যাবপ্রধান বলেন, “তবে বাংলাদেশে আল্ট্রা ইসলামিস্ট এর সংখ্যা বেশি না। যারা রয়েছে, তারাও আমাদের ২৪ ঘণ্টা নজরদারিতে রয়েছে।”
র্যাব-৭ এর সাবেক অধিনায়ক হাসিনুর রহমানকে এখনও খুঁজে না পাওয়াটি কি বাহিনীর ব্যর্থতার নজির- এই প্রশ্নে বেনজীর বলেন, “অনেক মানুষকেই তো খুঁজে পাওয়া যায় না। শুধু বাংলাদেশে নয়, আমেরিকা, ব্রিটেন, ইউরোপেও মানুষ নিখোঁজ হয়। একজনকে খুঁজে না পাওয়াটা কোনো বাহিনীর ব্যর্থতা নয়।”
তিনি বলেন, “আমাদের পক্ষ থেকে পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেছে। আমরা জ্ঞাত আছি। এবিষয়ে আমরা কাজ করছি। যদি কারও কাছে কোনো তথ্য থাকে, তাহলে জানালে আমরা ব্যবস্থা নেব।”
ঈদ এবং ১৫ অগাস্ট জাতীয় শোক দিবসকে কেন্দ্র করে র্যাব সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
বেনজীর বলেন, “হাটে গরু বিক্রি করে টাকা-পয়সা নিয়ে ব্যাপারীরা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন, সে বিষয়টি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। হাটে অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি, জাল টাকা, এসব বিষয় যাতে না ঘটে, তা আমরা নজর রাখছি।”
ডেঙ্গু নিয়ে তিনি বলেন, “আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নাই। যদি আমরা নিজের ঘরবাড়ি ও আঙিনা পরিষ্কার রাখি, পানি জমতে না দিই, তাহলে আমরা ডেঙ্গুমুক্ত থাকতে পারি।”
বাংলাধারা/এফএস/এমআর