ksrm-ads

১৯ এপ্রিল ২০২৫

ksrm-ads

কেটে ‘স্ক্র্যাপ’ হিসেবে বিক্রি—১০ হাজার গ্যাস সিলিন্ডার জব্দ

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি »

সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের দুই দিন না যেতেই একটি কারখানায় অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব-৭। টানা দুই দিনের অভিযানে তুলাতুলী এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় অবৈধভাবে মজুদ করা প্রায় ১০ হাজার এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার।

র‌্যাব জানায়, চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়ি, হোটেল, রেস্তোরাঁয় রান্নার কাজে ব্যবহৃত এসব গ্যাস সিলিন্ডার কিনে এখানে মজুদ করতো। এরপর কেটে ‘ভাঙারি লোহা’ হিসেবে কেজি দরে বেশি দামে বিক্রি করা হতো।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) উপজেলার তুলাতুলী এলাকায় টানা দুই দিনের অভিযান শেষে এ কথা জানায় র‍্যাব। এ অভিযানে ঈসমাইল ওরফে এলপি কুসুম, গুদাম মালিক মহসিন এবং নবী নামে তিনজনসহ মোট নয় জনকে আটক করে র‌্যাব।

র‌্যাব জানায়, সীতাকুন্ড এন্টারপ্রাইজের মালিক ইসমাইল উদ্দিন কুসুম প্রকাশ এলপি কুসুমের নেতৃত্বে তুলাতলী এলাকার বাসিন্দা মহসিন, নবী, মঈনুদ্দিন মেম্বার, তার ভাই সাইফুদ্দিন, টিটু শাহীন, রফিকসহ আরও কয়েকজন পৃথক পৃথক সিন্ডিকেট করে একাজ করে আসছিল।

র‍্যাব কর্মকর্তারা জানান, সম্প্রতি লোহার দাম বেড়ে যাওয়ার পর মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে চক্রটি। বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিটি সিলিন্ডার ৬০০ টাকা দরে কিনে প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি করতো। এভাবে ১৩ কেজির একটি এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার ‘ভাঙারি লোহার’ মূল্যে দাঁড়াতো ৭৮০ টাকায়। পাশাপাশি সিলিন্ডারের নলেজ পুনরায় বিক্রি হতো ২৫০ টাকায়। এ কারণে ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাস সিলিন্ডার মজুদ করে মুনাফা করতো চক্রটি।

র‍্যাব-৭-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ বলেন, যদিও খালি হওয়া (ব্যবহৃত) গ্যাস সিলিন্ডার কাটা হতো। এরপরও ভেতরে কিছু গ্যাস অবশিষ্ট থাকতো। এভাবে একটু একটু গ্যাস অবৈধভাবে মজুদ করা ১০ হাজার সিলিন্ডারে জমা ছিল। কোনো অগ্নিকাণ্ড কিংবা দুর্ঘটনা ঘটলে যা ব্যাপক আকার ধারণ করতো।

সীতাকুণ্ড তুলাতুলী এলাকার পাঁচ স্পটে অভিযান চালিয়ে চক্রের মূল হোতাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এরই মধ্য এখানে ছোটখাটো দুর্ঘটনার তথ্য আমরা পেয়েছি। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ চক্রে থাকা বাকিদেরও দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ