৮ জুলাই ২০২৫

ক্রেতা সংকটে চট্টগ্রামের সোনার বাজার

বাংলাধারা ডেস্ক »

মহামারি করোনা ভইরাসের প্রকোপের মধ্যে চলতি বছরের শুরু থেকেই স্বর্ণের দাম ধাপে ধাপে বেড়ই চলেছে। এতে সৃষ্টি হয় একের পর এক রেকর্ড। এতে প্রতি আউন্স সোনার দাম ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দুই হাজার ডলারে পৌঁছেছে। ফলে সোনার দোকানে সোনার তৈরি অলংকারের বিক্রি কমলেও পুরোনো সোনা বিক্রি করে দেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে মানুষের। কারণ, পুরোনো হলেও এখন বিক্রি করলে মিলছে বেশ ভালো দাম।

চট্টগ্রাম নগরীর বিপণি বিতান, দেওয়ানবাজার ও হাজারিগলি এলাকার সোনার দোকানের কর্মীরা জানান, সোনার দাম বাড়ায় বেচা-বিক্রি একেবারেই নেই। অথচ বেশির ভাগ মানুষই আসছেন পুরোনো স্বর্ণালংকার বিক্রি করতে। সোনা কেনার চেয়ে বিক্রি করে দেওয়ার এই প্রবণতা আগে দেখেননি তাঁরা।

দোকানে আসা সোনা বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এখন পুরোনো স্বর্ণালংকার বিক্রি করেও কেনা দামের চেয়ে বেশি দাম পাওয়া যাচ্ছে। তাই এখন বাড়তি লাভে তাঁরা সোনার তৈরি পুরোনো অলংকার বিক্রি করে দিচ্ছেন। দাম কমলে তখন নতুন করে আবার অলংকার কিনবেন। তবে অনেকে করোনার কারণে আর্থিক সংকটে পড়েও পুরোনো স্বর্ণালংকার বিক্রি করে দিচ্ছেন।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) বেঁধে দেওয়া দাম অনুযায়ী, বর্তমানে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার অলংকার বিক্রি হচ্ছে ৭৭ হাজার ২১৬ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেট মানের সোনার দাম ৭৪ হাজার ৬৭ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৬৫ হাজার ৩১৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার ভরি বিক্রি হচ্ছে ৫৪ হাজার ৯৯৬ টাকায়। দেশের ইতিহাসে সোনার এ দাম এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। অন্যদিকে পুরোনো সোনার অলংকার বিক্রি করে মানভেদে প্রতি ভরিতে ৫০ থেকে ৬৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম পাচ্ছেন।

চট্টগ্রাম নগরীতে বাজুসের সদস্যভুক্ত প্রায় পাঁচ হাজার সোনার দোকান রয়েছে। এর মধ্যে বিপণিবিতানেই (নিউমার্কেট হিসেবে পরিচিত) আছে ১০৩টি দোকান। এ ছাড়া বেশির ভাগ দোকান আছে রেয়াজউদ্দিন বাজার, দেওয়ানবাজার ও হাজারিগলি এলাকায়। এর বাইরে নগরের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে আরও কিছু সোনার দোকান।

সোনার দাম বেড়ে যাওয়ায় নতুন অলংকার বিক্রি একেবারে তলানিতে ঠেকেছে বলে জানান বাজুস চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি মৃণাল কান্তি ধর বলেন, এমনিতে করোনার কারণে অনেক দিন দোকানপাট বন্ধ ছিল। এখন কিছু কিছু বিয়ে ও সামাজিক অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। অথচ নতুন অলংকারের ক্রেতা একেবারেই নেই। উল্টো ভালো মুনাফার আশায় অনেকে পুরোনো অলংকার বিক্রি করছেন। দাম বাড়ায় সোনার ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতা বেশি। সূত্র : প্রথম আলো

বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ