খাগড়াছড়িতে টানা বৃষ্টিপাতে পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যেকারণে ঝুঁকিতে থাকা লোকজনদের নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে মাইকিং করছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা। দূর্যোগ মোকাবেলায় সবধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান। পাহাড়ি এলাকার সড়কে যানবাহন চলাচলকারীদের গতি নিয়ন্ত্রণে রাখার সতর্কতামূলক পরামর্শ সড়ক বিভাগের।
জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় অতিবৃষ্টির ফলে পাহাড় ধস ও পাহাড়ি ঢলে বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা মাথায় রেখে মাইকিং করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি তথ্য অফিসের মাধ্যমে সড়ক প্রচার কার্যক্রম চালানো হয়। এ সময় শালবাগান, কলাবাগান, কুমিল্লাটিলা, সবুজবাগ এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে ও নিম্মাঞ্চলে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে সচেতন ও সতর্ক করা হয়েছে।
পাহাড় ধসের শঙ্কা ছাড়াও টানা বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাড়ি ঢলে শহরের বুক চিরে প্রবাহিত হওয়া চেঙ্গী নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। বাড়ে স্রোতের প্রবাহ। তলিয়ে যায় নদীর তীরবর্তী গ্রাম ও আশাপাশের ঘরবাড়ি। এ সময়ে অনেকে ঝুঁকি নিয়ে স্রোতে ভেসে আসা গাছ-গাছালি ও লাকড়ি ধরতে নামেন। তাতে প্রতিবছরই মারা যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে। এ বছর নদী তীরবর্তী ঐসব এলাকায়ও সচেতনমূলক মাইকিং করা হচ্ছে।
খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর ষ্টেশন কর্মকর্তা রাজেশ বড়ুয়া বলেন, স্থানীয় জনগণের ক্ষয়ক্ষতি ও জানমাল রক্ষায় সচেতন করতে শহরের বিভিন্নস্থানে মাইকিং করা হয়েছে। প্রতিবছরই বর্ষার মৌসুমে পাহাড় ধসের আশঙ্কা থাকে। এছাড়া পাহাড়ি ঢলে চেঙ্গী নদীর পানি বাড়ে। সেসময়টায় মানুষজন যাতে ঝুঁকি এড়িয়ে চলে সেই বিষয়ে সচেতন করতে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে শহরের জেল গেইট ও নতুনকুঁড়ি এলাকায় গাছ উপড়ে পড়েছে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গাছ গুলো কেটে সরিয়ে নিয়েছে।
জেলা প্রশাসক সহিদুজ্জামান জানান, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে পাশের দুই জেলা থেকে খাগড়াছড়িতে এর পরিমাণ কম হয়েছে। জেলায় পাহাড় ধসের আশঙ্কাও কম। তারপরও দূর্যোগ মোকাবেলায় সবধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। খোলা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র। জেলার সকল অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এদিকে, টানা বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাড়ি এলাকায় সড়কের ওপর পাহাড় ধসে পড়ার ঘটনা ঘটে। বিষয়টি মাথায় রেখে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সড়ক বিভাগের ভ্রাম্যমাণ টিম কাজ করছে জানিয়েছে সড়ক বিভাগ।