ksrm-ads

১ মে ২০২৫

ksrm-ads

খাগড়াছড়িতে ৪ ভুয়া সাংবাদিকের ৩ দিনের রিমান্ড

বিএনপির মিডিয়া সেলের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করতে এসে খাগড়াছড়িতে পুলিশের হাতে আটক ৪ ভুয়া সাংবাদিকের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আমলী আদালত। বুধবার (১৯ মার্চ) রিমান্ড শেষে ওই আসামিদের খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালায় একটি ইট ভাটায় চাঁদাবাজি করতে এসে পুলিশের হাতে আটক হয় ৪ ভূয়া সাংবাদিক।

এ ঘটনায় জড়িত ৭ জন সহ আরও অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে খাগড়াছড়ি সদর মডেল থানায় চাঁদাবাজির মামলা করেন দীঘিনালার ইট ভাটা মালিক মো. আলমগীর হোসেন। মামলার এজাহারে তিনি আসামিরা বিএনপির মিডিয়া সেলের লোক পরিচয় দিয়ে তার (বাদীর) নিকট চাঁদা দাবী ও ভয়ভীতি প্রদর্শন পূর্বক চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উল্লেখ করেছেন। আসামিদের বাড়ি খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা জেলায়। অনুসন্ধানে জানা যায়, ওই আসামিরা দীঘিনালার ইউএনও মো. মামুনুর রশিদের নিকট নিজেদের সাংবাদিক ও বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য পরিচয় দিয়েছে। যার ভিডিও বাংলাধারার হাতে রয়েছে।

খাগড়াছড়ি সদর মডেল থানার ওসি ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবদুল বাতেন মৃধা জানান, ৪ আসামিকে ৩ দিনের রিমান্ড শেষে আজ খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তারা গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য দিয়েছে। তবে আসামিরা বাদী মো. আলমগীর হোসেনের মালিকানাধীন ওই ইট ভাটায় অসৎ উদ্দেশ্যে গিয়েছিল, তারাই পুরো ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত। মামলার অন্য আসামিরা জড়িত আছে মর্মে কোনো তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মামলাটি অধিক গুরুত্বের সাথে তদন্ত করা হচ্ছে।
আসামিরা কোনো মিডিয়ায় কর্মরত আছে মর্মে অফিসের এসাইনমেন্ট বা পরিচয় পত্র, নিয়োগ পত্র দেখাতে পারেনি।
তারা দীঘিনালায় গিয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য পরিচয় দিয়েছে বলে রিমান্ডে স্বীকার করেছে বলেও জানান খাগড়াছড়ি সদর মডেল থানার ওসি আবদুল বাতেন মৃধা।

কারাগারে বন্দী আসামিরা হলেন- কুমিল্লার দেবিদ্বারের মাহবুবুর রহমানের ছেলে তোফায়েল আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান রিয়াদ, খাগড়াছড়ির মানিকছড়ির আব্দুল মতিন মাস্টারের ছেলে মোক্তাদির হোসেন ও গুইমারার মো. জয়নাল আবেদীনের ছেলে আল আমীন।

দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএন) মো. মামুনুর রশিদ বলেন, আটককৃত ওই ৪ আসামি নিজেদের সাংবাদিক ও বিএনপির মিডিয়া সেলের লোক বলে আমার অফিসে পরিচয় দিয়েছে। অফিসে আমার সাথে একসঙ্গে ছবিও তুলেছেন। তারা এই এলাকার ইট ভাটা নিয়ে আমার সাক্ষাতকারও নিয়েছিলেন। পরে জানতে পারি তারা প্রতারক, অসৎ উদ্দেশ্যে কয়েকটি ইট ভাটায় গিয়েছিল।

আটককৃত আসামিদের পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়ে বলেন, বিভিন্ন কারণে ওই ৪ জন ব্যক্তি গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার। তারা খাগড়াছড়ির একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির রোষানলে পড়েছে।

মানিকছড়ি প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান জনান, খাগড়াছড়িতে চাঁদাবাজি মামলায় পুলিশ কর্তৃক আটকের পর ক্লাবের সদস্য মোকতাদের হোসেন’কে প্রেস ক্লাবের সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন