বাংলাধারা বিনোদন»
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু তদন্তে খুনের সম্ভাবনাকে পুরোপুরি নাকচ করে দিলো অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স (এমস)।
চিকিৎসক সুধীর গুপ্তের নেতৃত্বে একটি দল অভিনেতার ময়নাতদন্ত এবং ভিসেরা রিপোর্ট পুনরায় পরীক্ষা করার পর মৃত্যুর কারণ হিসেবে আত্মহত্যাকেই চিহ্নিত করে।
সুধীর বলেন, “সুশান্তর মৃত্যু নিশ্চিতভাবে আত্মহত্যার কারণে হয়। খুনের কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।”
সুশান্তর ২০ শতাংশ ভিসেরা নিয়ে পরীক্ষা করে এইমস। বাকি ৮০ শতাংশকে আগেই ব্যবহার করেছিল মুম্বাই পুলিশ। এ ছাড়া অভিনেতার ল্যাপটপ, ক্যামেরা, কিছু হার্ড ডিস্ক এবং দুটি ফোন থেকে তথ্যপ্রমাণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করে ফরেনসিক সংস্থা।
২৯ সেপ্টেম্বর এমস অভিনেতার ভিসেরা রিপোর্ট কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইকে জমা দেয়। বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ আত্মহত্যার দিকেই ইঙ্গিত করছে বলে জানা যায় তখন। এর আগে কুপার হাসপাতালও খুনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়।
প্রয়াতের পরিবারিক আইনজীবী বিকাশ সিং-এর দাবি, তাকে এমসেরই এক চিকিৎসক বলেছেন অভিনেতার মৃত্যু নিশ্চিতভাবে শ্বাসরোধের কারণেই হয়েছে।
তিনি বলেন, “এইমসের চিকিৎসক সুশান্তর মৃতদেহের ছবি দেখে দুইশ’ শতাংশ নিশ্চিত হয়ে বলেছেন শ্বাসরোধের কারণেই এই মৃত্যু।” পাশাপাশি তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন ধীর গতির তদন্ত নিয়ে। তার কথায়, এ বার অভিনেতার পরিবার ধৈর্য হারাচ্ছে। তদন্তের অভিমুখ কোনদিকে, তা বোঝাপড়ার বাইরে।
তবে সুধীর গুপ্ত বলছেন, “সুশান্তর পরিবারিক আইনজীবী যা বলছেন, তা ঠিক নয়। এত সহজে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যায় না। তার মৃত্যুর কারণ খুন না আত্মহত্য্ তা শুধু ফাঁসের চিহ্ন বা ঘটনাস্থল দেখে বোঝা সম্ভব নয়।”
আত্মহত্যার দিন ১৪ জুন মুম্বাইয়ের কুপার হাসপাতালের মর্গে সুশান্তর ময়নাতদন্ত হয়। পরদিন হাসপাতালের ৫ চিকিৎসকের টিম জানান, বেশিক্ষণ ঝুলন্ত অবস্থায় থাকার কারণেই মৃত্যু হয়েছে অভিনেতার। কিন্তু পুলিশের এই দাবি মেনে নেননি সুশান্তর পরিবার, অনুরাগীরা।
এ দিকে শুক্রবার গান্ধী জয়ন্তীর দিন দিল্লির যন্তর মন্তরে শুরু হয়েছে সুশান্তর বন্ধুদের অনশন কর্মসূচি। হাতে প্ল্যাকার্ড, গলায় চিৎকার, ‘সামনে আসুক সত্য! সুশান্তের খুনিদের ফাঁসি দেওয়া হোক!’ বন্ধু ও অনুরাগীরা জানান, বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
বর্তমানে সিবিআই আত্মহত্যার দিকটি খতিয়ে দেখছে। অবশ্য আত্মহত্যা করতে প্ররোচনা দেওয়ার সম্ভাবনা সম্পূর্ণ উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। এর স্বপক্ষে তথ্যপ্রমাণ মিললে ৩০২ ধারায় খুনের মামলা রুজু হতে পারে।
বাংলাধারা/এফএস/ইরা