ksrm-ads

৭ অক্টোবর ২০২৪

ksrm-ads

ঘুষ কেলেঙ্কারি: দুদক পরিচালক এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত

বাংলাধারা ডেস্ক »

অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে অভিযুক্ত আলোচিত ডিআইজি মিজানের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে দুদক পরিচালক এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

সোমবার (১০ মে) বিকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় প্রধান কার্যালয়ে দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এতথ্য জানান। তিনি বলেন, অনুসন্ধানের তথ্য অভিযুক্ত ব্যক্তির কাছে প্রকাশ করায় চাকরির শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ডিআইজি মিজানের দুর্নীতি তদন্তে নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ঘুষ লেনদের অভিযোগের বিষয়ে আলাদা একটি বিভাগীয় তদন্ত করা হবে বলে জানান তিনি। দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন পুলিশের বিতর্কিত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান। ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলাটি তদন্ত করছিলেন এনামুল বাছির।

রবিবার গণমাধ্যমে প্রচারিত খবরে দুজনের কথপোকথনের একটি অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়েছে। এই অভিযোগ ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই ডিআইজি মিজানের অভিযোগের ভিত্তিতে দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সংস্থাটি। রবিবার দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখতকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির বাকি দুই সদস্য করা হয় দুদক মহাপরিচালক (প্রশাসন) সাঈদ মাহবুব খান ও মহাপরিচালক (লিগ্যাল) মফিজুল ইসলাম ভূইয়া। একদিনের মধ্যে এ বিষয়ে কমিশনে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় বেঁধে দেয়া হয়। দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্ত-২ অনুবিভাগের দায়িত্বে থাকা অভিযুক্ত দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির ১৯৯১ সালে অ্যান্টি করাপশন অফিসার (এসিও) হিসেবে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোতে যোগ দেন।

পরে তিনি সহকারী পরিচালক, উপ-পরিচালক ও পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পান। এনামুল বাছিরকে বরখাস্ত করার পর দুদক চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাওয়া হয়, এ ঘটনায় দুদক সম্পর্কে মানুষের আস্থা সংকট দেখা দেবে কি না?

এমন প্রশ্নের জবাবে সংস্থাটির চেয়ারম্যান বলেন, কমিশনে ৮৭৪ জন কর্মকর্তা রয়েছে। সবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া সম্ভব নয়। আমরা দুদক পরিচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। আর সঙ্গে সঙ্গে এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি ও ব্যবস্থা নিয়েছি। তাই আমি মনে করি জনগণের আস্থা সংকটের কিছু নেই। ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিষয়ে তিনি বলেন, ঘুষ দেওয়া ও নেওয়া সমান অপরাধ। এখানে ঘুষের প্রকৃত লেনদেন হয়েছে কি না সেটিরও তদন্ত করবে দুদক। অন্যায় করলে কেউ ছাড় পাবে না।

বাংলাধারা/এফএস/এমআর/টিএম/বি

আরও পড়ুন