বাংলাধারা প্রতিবেদন »
‘চট্টগ্রামবাসীর সুখে-দুঃখে সবসময় ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব। আমার আর চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। জীবনে যা চেয়েছি, সবই পেয়েছি। পেয়েছি পদপদবী, অভূতপূর্ব সম্মান, মানুষের অপত্য ভালোবাসা।’
বুধবার (৫ আগস্ট) দুপুরে নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম (টিআইসি) মিলনায়তনে সিটি করপোরেশন কর্মকর্তা কর্মচারীদের আয়োজিত প্রীতি সম্মিলনে বিদায়ী সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আত্মকেন্দ্রিক চিন্তাভাবনা ও আত্মপ্রচার পরিহার করা উচিত। তাহলে আমরা এগিয়ে যাবো। প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গেলে এর একটি অংশ সরকার দিবে এবং আরেকটি অংশ করপোরেশন দিবে। অনেক বেশি প্রকল্প নিয়েছি, যার কারণে অনেক বকেয়া আছে ঠিকাদারের মাঝে। স্পষ্ট করে জনগণকে জানাতে হবে, না হলে তাদের মাঝে ভুল বার্তা যাবে। এখানে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কাউকে সমালোচনা না করার আহ্বান জানান মেয়র।
আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, আমরা একটি পরিবার হিসাবে কাজ করতে পেরেছি। এখানে কোন দল, কোম মত তা বিবেচনা না করে জনপ্রতিনিধি হিসাবে যতটুকু সহযোগিতার প্রয়োজন ততটুকু করেছি। সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। মানুষের জন্য কাজ করতে পারা অনেক বড় সৌভাগ্যের বিষয়।
তিনি আরও বলেন, আমি মানুষের যে ভালোবাসা পেয়েছি, চসিকের কর্মকর্তা কর্মচারীদের যে ভালোবাসা, আন্তরিকতা পেয়েছি, এতে মনে করি আমি সফল। একজন রাজনীতিবিদ যে উদ্দেশ্য নিয়ে রাজনীতি করে তা করতে পেরেছি। আগেও ছিলাম, এখানও আছি, আমৃত্যু বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাব। আমার দরজা সবার জন্য সব সময় খোলা থাকবে। আমার পাওয়ার আর কিছু নেই, যা পাওয়ার সব পেয়েছি।
চসিকের প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা মো সামসুদ্দোহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, কাউন্সিলর সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টু মো. আযম, সালেহ আহমদ চৌধুরী, ইসমাইল বালি, আনজুমান আরা বেগম, হাসান মুরাদ বিপ্লব, চসিক সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সাইফুদ্দিন আহমেদ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ একেএম রেজাউল করিম চৌধুরী, ইউএনডিপি’র টাউন ম্যানেজার সরোয়ার হোসেন খান, চসিক সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে মেয়র আজম নাছির উদ্দীনকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা। এছাড়াও সম্মাননা জানানো হয় ৪১টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ