বাংলাধারা বিনোদন »
মাসুদ হাসান উজ্জ্বল পরিচালিত ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ মুক্তি পাচ্ছে ২৩ অক্টোবর। কয়েক দিন আগে এক ঘোষণায় নির্মাতা জানান, শুধু রাজধানীর মাল্টিপ্লেক্স চেইন স্টার সিনেপ্লেক্সের সব শাখায় ছবিটি আসবে। তবে নতুন সুখবর দিলেন মঙ্গলবার।
উজ্জ্বল জানান, প্রথম দিনই সিনেমাটি চট্টগ্রামের দর্শকরা দেখার সুযোগ পাচ্ছেন। মানে বন্দর নগরীতেও মুক্তি পাচ্ছে ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’।
ফেইসবুকে তিনি লেখেন, “আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, দর্শকের তীব্র দাবির কারণে আমরা ‘ঊনপঞ্চাশ_বাতাস’ চট্টগ্রামের সিলভার স্ক্রিনে আগামী ২৩ অক্টোবর মুক্তি দিতে চলেছি।”
করোনার আবহে প্রায় সাত মাস বন্ধ ছিল প্রেক্ষাগৃহ। এর পর হল খুলেছে গত শুক্রবার। এর পর ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ মুক্তির ঘোষণা দেন মাসুদ হাসান উজ্জ্বল। তবে প্রশ্ন ওঠে, শুধু স্টার সিনেপ্লেক্সে কেন?
জবাবে ফেইসবুকে দীর্ঘ পোস্ট দেন উজ্জ্বল। লেখেন, “দেশব্যাপী ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ মুক্তি না দিয়ে কেবলমাত্র স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্তে অনেকে হতাশ হয়েছেন, নিজের ক্ষোভ বা আক্ষেপ প্রকাশ করছেন। আপনাদের আবেগ আমাকে আরও অনেক বেশি দায়বদ্ধ করে তুলেছে। তাই মনে হলো আপনাদের কাছে আমার নিজের অবস্থানটা পরিষ্কার করা উচিত।
কেবল আমি কেন, পাগলেও বুঝবে মাল্টিপ্লেক্সের কেবলমাত্র ৫-৬টি হলে ছবি মুক্তি দিলে সেই ছবির লগ্নির টাকা উঠে আসবে না! তা ছাড়া সারা দেশের মানুষকে ছবি দেখাতে না পারলে, ছবি বানানোর কী দরকার!
যারা আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে চেনেন তারা সকলেই জানেন আমি কতোটা নিয়মতান্ত্রিক মানুষ, অব্যবস্থাপনা এবং অস্বচ্ছতা আমার পছন্দ নয়। মুশকিল হলো, আমাদের দেশের সিংগেলস্ক্রীনগুলো থেকে আয়-ব্যয় হিসাব করার পদ্ধতি অতি সনাতন এবং অস্বচ্ছ। দেশব্যাপী মুক্তি দিলে সেই ছবির অনেক নামডাক হয় এবং সেই ছবি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অনেক প্রভাবশালী মনে হয়! আমি ক্ষুদ্র মানুষ, জেনেবুঝে লোকসান করতে রাজি আছি, কিন্তু ফাঁদে পড়ে নয়! ‘ঠ্যাকা এবং ঠকা’ শব্দ দুটি শিল্পের জন্য সম্মানজনক নয়!
তা ছাড়া দীর্ঘ সাত মাস হল বন্ধ থাকার পর হুট করে বড় একটা রিলিজ দিতে গেলে সেটাকে এতো স্বল্প সময়ে সমন্বয় করাটাও কঠিন! ফলে বলছি না যে আমরা দেশব্যাপী মুক্তি দেব না, কিন্তু একটু গুছিয়ে বুঝেশুনে সারা দেশে মুক্তি দিতে চাই!
ছবি হলে মুক্তি দেওয়ার আগেই যে ভালোবাসা আর সম্মান আপনারা দেখিয়েছেন তা অমূল্য। আমি সেটার প্রতিদান ছবির মাধ্যমেই দিতে চাই! শুভরাত্রি।”
‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’-এর মূল চরিত্রে আছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ ও শার্লিন ফারজানা।
পরিচালনার পাশাপাশি ছবিটির কাহিনি, সংলাপ, চিত্রনাট্য, শিল্পনির্দেশনা ও সংগীত পরিচালনা করছেন মাসুদ হাসান উজ্জ্বল নিজেই।
বাংলাধারা/এফএস/ইরা