আজ সারা দেশে শুরু হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। রোববার (৩০ জুন) সকাল ১০টায় চট্টগ্রামসহ সারা দেশেই একসঙ্গে প্রথম পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
চলতি বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি, আলিম, এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল), ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষায় মোট ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। পরীক্ষায় অংশ নিতে ইতোমধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে প্রবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা।
সকাল থেকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, নির্ধারিত সময়ের আগেই কেন্দ্রের সামনে হাজির হয়েছেন পরীক্ষার্থীরা। সকাল দশটায় পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সাড়ে আটটার পর থেকেই কেন্দ্রের সামনে ভিড় বাড়তে থাকে। তবে সকালবেলার ভারী বৃষ্টির কারণে পরীক্ষার্থীদের ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
অভিভাবকরা বলছেন, প্রথম পরীক্ষা, যানজটের ভয় এবং নির্ধারিত সময়ের আগের ফাঁকা রাস্তায় নির্ঝঞ্ঝাট কেন্দ্রে আসার জন্যই আগেভাগে কেন্দ্র এসেছেন। বৃষ্টির সম্ভাবনা চিন্তা করেই বাসা থেকে ছাতা নিয়ে বের হয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত সময়ে কেন্দ্রে পৌছাতে জানজট বিঘ্ন না ঘটালেও টানা বৃষ্টিতে জলজট সৃষ্টি হওয়ায় বিড়ম্বনায় পড়েছেন পরিক্ষার্থীরা। রিকশাভাড়াও দ্বিগুণ হওয় যাওয়ার কথা জানান একাধিক পরীক্ষার্থী।
যেসব নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়
পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে এর পরে প্রবেশ করতে দিলে তার নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্ব হওয়ার কারণ ইত্যাদি একটি রেজিস্ট্রারে লিখে ওই্ দিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে।
পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট পূর্বে এসএমএসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্ন পত্রের সেট কোড জানিয়ে দেওয়া হবে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না; শুধু ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন (তবে ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল ফোন)।
পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি (যেমন- পরীক্ষার্থী, কক্ষ পর্যবেক্ষক (ইনভিজিলেটর), মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, বোর্ডের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পরিদর্শন টিম, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য) ছাড়া অন্য কেউ কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না।
এ ছাড়া, বিশেষভাবে সক্ষম (ডিফারেন্টলি অ্যাবল) পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ কিছু ব্যবস্থা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।
প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউনসিন্ড্রম, সেরিব্রাল পালসি) পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বাড়ানোসহ শিক্ষক, অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহযোগিতায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।