চট্টগ্রামে নতুন ফাঁদ! টেলিগ্রামে ‘ভিআইপি সিক্রেট গ্রুপ’। সুন্দরী নারীদের দিয়ে টেলিগ্রামে একাউন্ট খুলে পাতা হয় ফাঁদ হাতিয়ে নেওয়া হয় টাকা। টাকা হাতানোর এ চক্রের সদস্যরা ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধনী লোকজন প্রধান টার্গেট। শুরুতে পরিচিত হয় এরপর কৌশলে বাসায় ডেকে নিয়ে যায়। ফাঁদে পা দেওয়া লোকজন মুঠোফোন, নগদ টাকা থেকে শুরু করে মোটা অংকের মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পান তাদের হাত থেকে। আর টাকা না দিলে দেওয়া হয় প্রাণনাশ ও মানহানীর হুমকি।
‘ভিআইপি সিক্রেট গ্রুপ’ এবার পুলিশ হাতে ধরা পড়েছে ভয়ানক এই চক্রের পাঁচ সদস্য। ভুক্তভোগী এক ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়। এদের মধ্যে তিনজন নারী ও দু’জন পুরুষ রয়েছেন। এসময় তাদের কাছ থেকে নগদ ৭ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে ডবলমুরিং থানা পুলিশ।
বুধবার (১১ নভেম্বর) রাত ২টার দিকে পাঠানটুলী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন—তানজিল আক্তার (২৭), নাবিলা আক্তার হ্যাপি (২০), শামীমা আকতার (৩৬), মো. সাদেক হোসেন বাপ্পি (২২) ও মেহেদী হাসান প্রান্ত (১৫)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে ‘ভিআইপি সিক্রেট গ্রুপ’র সক্রিয় সদস্য নাবিলা আক্তার হ্যাপির সঙ্গে গত ৬ নভেম্বর এক চা-পাতা ব্যবসায়ীর পরিচয় হয়। পরিচয়ের সুবাদে তাকে গত ৯ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে কৌশলে নিজের বাসায় ডাকেন হ্যাপি। এরপর সেখানে থাকা গ্রুপের অন্য সদস্যরা তাকে আটকে রেখে ১২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ব্যবসায়ীর কাছে থাকা মোবাইল ফোন ও নগদ ১৮ হাজার টাকা নিয়ে দাবি করা টাকা এনে দিতে বলে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী নিরুপায় হয়ে নগরীর বায়েজিদ থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ ১১ ডিসেম্বর রাত ২টার দিকে পাঠানটুলী এলাকা থেকে গ্রুপের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে নগদ ৭ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
ডবলমুরিং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিক আহাম্মদ বলেন, টেলিগ্রামে ‘ভিআইপি সিক্রেট গ্রুপ’ নামের একটা গ্রুপ কৌশলে বিভিন্ন লোকজনকে বাসায় ডেকে নিয়ে আটক রেখে চাঁদা দাবি করত। চাঁদা না পেলে প্রাণনাশের হুমকি দিতো। এ গ্রুপের সক্রিয় পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে নগদ ৭ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।