বাংলাধারা প্রতিবেদন »
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার গতবছরের চেয়ে ২দশমিক ৬১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮ দশমিক ১১ শতাংশ। তবে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত সংখ্যা কমেছে। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ হাজার ৩৯৩ জন শিক্ষার্থী।
সোমবার (৬ মে) দুপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, চট্টগ্রাম এর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. মাহবুব হাসান এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
মাহবুব হাসান জানান, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ১ হাজার ৩০ টি প্রতিষ্ঠানের মোট ১ লাখ ৪৯ হাজার ৯৯২ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৮৫১ জন শিক্ষার্থী। অর্থ্যৎ পাসের হার ৭৮ দশমিক ১১। গতবছর ছিল ৭৫ দশমিক ৫০ শতাংশ অর্থ্যাৎ গত বছরের চেয়ে পাসের হার বেড়েছে ২ দশমিক ৬১ শতাংশ।
পাসের হারে ছাত্ররা এগিয়ে আছে। এবার ছাত্রের পাশের হার ৭৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ যা গতবছর ছিল ৭৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ। ছাত্রীর পাসের হার ৭৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ যা গতবছর ছিল ৭৫ দশমিক ১৯ শতাংশ।
তবে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রীরা এগিয়ে। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ হাজার ৩৯৩ জন শিক্ষার্থী। যা গত বছর ছিল ৮ হাজার ৯৪ জন । সে হিসাবে গত বছরের তুলনায় জিপিএ-৫ সংখ্যা শিক্ষার্থী কমেছে ৭০১ জন। এবার জিপিএ-৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে মধ্যে ছাত্রী সংখ্যা ৩ হাজার ৭৪১ জন এবং ছাত্র সংখ্যা ৩ হাজার ৬৫২ জন।
তিনি আরো জানান, এবার পাসের হার ০ (শূন্য) এমন বিদ্যালয়ের সংখ্যা ০ (শূন্য) অর্থ্যাৎ এবার প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পাস করেছে। পাসের হার শতভাগ (১০০ শতাংশ) এমন বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৩০ টি যা গত বছর ছিল ২৭ টি।
চট্টগ্রাম মহানগরের পাসের হার এবার গতবছরের তুলনায় কমলেও বেশ চমক দেখিয়েছে মহানগরবাদে চট্টগ্রাম জেলা, কক্সবাজার জেলা, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল বিশেষ করে খাগড়াছড়ি জেলা। এবার চট্টগ্রাম মহানগরের পাসের হার ৮৪দশমিক ৩৮ শতাংশ গত বছর যা ছিল ৮৫দশমিক ২২ শতাংশ। মহানগর বাদে চট্টগ্রাম জেলা, কক্সবাজার জেলায় পাসের হার যথাক্রমে ৭৮ দশমিক ৬০, ৮০ দশমিক ৫৮ শতাংশ। যা গত বছর ছিল যথাক্রমে ৭৭ দশমিক ২৬ এবং ৭৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
তবে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে পাসের হার অনেক বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বাজিমাত করেছে খাগড়াছড়ি জেলা। এবার খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি এবং বান্দরবান জেলার পাসের হার ৬৫ দশমিক ৪৬, ৬৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং ৬৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ। যা গত বছর ছিল যথাক্রমে ৫০ দশমিক ৫২ , ৬২ দশমিক ৭২ এবং ৫৭ দশমিক ৯২ শতাংশ।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. মাহবুব হাসান জানান, আমরা গত বছর ফলাফল ঘোষণার পর মফস্বল স্কুল ও পার্বত্য অঞ্চলের প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করছিলাম। সেখানে আমরা বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছি। উনাদের আন্তরিকথায় এবার এসব অঞ্চলে পাসের হার অনেক বেড়েছে যা খুবই সন্তোষজনক।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর/টিআর/বি