ksrm-ads

১৮ জানুয়ারি ২০২৫

ksrm-ads

চট্টগ্রামে পুরুষের চেয়ে নারী বেশি

চট্টগ্রামে দশ বছরে জনসংখ্যা বেড়েছে ১৫ লাখ ৫৩ হাজার। ২০১১ সালে জনসংখ্যা ছিল ৭৬ লাখ ১৬ হাজার জন। সর্বশেষ ২০২২ জনশুমারির তথ্য অনুযায়ী জনসংখ্যা ৯১ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬৫ জন।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর জেলা রিপোর্ট প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। তথ্য উপস্থাপন করেন জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. ওয়াহিদুর রহমান।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০২২ সালে ১৪ জুন পর্যন্ত চট্টগ্রামে জনসংখ্যা ছিল ৯১ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬৫ জন। এর মধ্যে পল্লি অঞ্চলে জনসংখ্যা ৪২ লাখ ৮৪ হাজার ২৪৯ জন এবং শহর অঞ্চলে জনসংখ্যা ৪৮ লাখ ৮৫ হাজার ২১৬ জন। এছাড়া চট্টগ্রামে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে বসবাস করেন ১৭৩৬ জন। ২০১১ সালে ছিল ১৪৪২ জন। জেলায় জনসংখ্যার বার্ষিক গড় বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ। ২০১১ সালে এ হার ছিল ১ দশমিক ৪০ শতাংশ। চট্টগ্রামে মুসলিম জনসংখ্যা ৮৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ। হিন্দু জনসংখ্যা ১০.৭২ শতাংশ। বৌদ্ধ জনসংখ্যা ১.৬৩ শতাংশ।

এছাড়া জেলায় অবিবাহিত নারীর চেয়ে পুরুষে সংখ্যা বেশি। নারী ২৬.৫২ শতাংশের বিপরীতে পুরুষের হার ৪২.৪৩ শতাংশ। পুরুষের চেয়ে বেশি নারীর সংখ্যা। প্রতি ১০০ জন নারীর অনুপাতে পুরুষের সংখ্যা ৯৯.৩৭ শতাংশ। চট্টগ্রামে পুরুষের সংখ্যা ৪৫ লাখ ৭০ হাজার ১১৩ এবং নারীর সংখ্যা ৪৫ লাখ ৯৮ হাজার ৯২৬ জন। সে হিসেবে চট্টগ্রামে ২৮ হাজার ৮১৩ নারী বেশি।

চট্টগ্রামে সাক্ষরতা হার ৮১.০৬ শতাংশ, এর মধ্যে নারী ৭৯.২৬ শতাংশ এবং পুরুষ ৮২.৮৮ শতাংশ। জেলায় ১৫-২৪ বছর বয়সী জনসংখ্যা প্রায় ৩০.৩৮ শতাংশ তরুণ-তরুণী পড়ালেখা, কাজ বা কোনো ট্রেনিং কার্যক্রমে যুক্ত নেই। এর মধ্যে নারীর সংখ্যা ৪৬.৬২ শতাংশ, পুরুষ সংখ্যা ১২.১৬ শতাংশ। চট্টগ্রামে কমছে কৃষি নির্ভর পেশার পরিমাণ। জেলায় কৃষি ক্ষেত্রে কাজ করা জনসংখ্যার পরিমাণ ১৭.৪৬ শতাংশ। এর বিপরীতে শিল্প খাতে ২৮.৭৪ শতাংশ এবং সেবা খাতে ৫৩.৮০ শতাংশ জনসংখ্যা জড়িত রয়েছে। ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৭৭.০৭ শতাংশ। এর মধ্যে নারী ৬৮.৫০ শতাংশ। পুরুষ ৮৫.৯৮ শতাংশ। অন্যদিকে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন ৫০. ৮২ শতাংশ। এর মধ্যে নারী ৪২.৪৩ শতাংশ এবং ৫৯.৫৪ শতাংশ।

পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম সচিব দেব দুলাল ভট্টাচার্য্যের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন চন্দন কুমার পোদ্দার।

প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, পরিসংখ্যান ব্যুরো যে তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করেছে তা চট্টগ্রামের জেলার বিভিন্ন উন্নয়নে কাজে লাগবে। বিশেষ করে স্যানিটেশন, জ্বালানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। চট্টগ্রামে এখনো ১.৪৯ শতাংশ কাঁচা/খোলা টয়লেট ব্যবহার করেন। এটিকে কিভাবে শূন্যে নামিয়ে আনা যায় তা নিয়ে কাজর জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগকে অনুরোধ করছি।

আরও পড়ুন