মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ শাখার কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী’র বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতি ও অনিয়মের তোলা হয়েছে।
এ ঘটনায় অনুসন্ধান চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ দিয়েছেন মো. আলী আশরাফ নামের এক ব্যক্তি। সে নগরীর লালখান বাজার এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলী কন্ট্রাক্টরের ছেলে। এ বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবি জানান তিনি।
অভিযোগে বলা হয়, ২০১২ সালে মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী মিউচুয়ার ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি আগ্রাবাদ শাখায় কর্মরত থাকাকালীন সময়ে মোহাম্মদ আলী আজগর, আলী হাসান এবং আলী আশরাফ সঞ্চয়ী হিসাব নং ৩০০৫-০৩১০০৪৩৬৫০ খুলেন। ফলে, আলমগীর চৌধুরী’র সাথে আলী আজগরের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
এরপরে আলমগীর চৌধুরী শাখা ব্যবস্থাপক হিসাবে আমান বাজার থাকাকালীন সময়ে মেসার্স আজগর এন্ড কোম্পানী নামের এক প্রতিষ্ঠানকে ঋণ প্রদান করেন।
পরবর্তীতে মঞ্জুরীকৃত ঋণের পরবর্তীতে ২০২১ সালে ৩১ আগষ্টে ৪০ লক্ষ ৭৫ হাজার ৭৯৬ টাকা ৭৮ পয়সা) পাওনার বিপরীতে ওই প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় পক্ষের বন্ধকীকৃত সম্পত্তি নিলামের জন্য দৈনিক পত্রিকাশ নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠান নিয়মিত ঋণ পরিশোধ না করলেও প্রতিষ্ঠানের মালিকের সাথে প্রতারণামূলক জমির ব্যবসা চালিয়ে যান ব্যাংক কর্মকর্তা আলমগীর।
আলমগীর চৌধুরী ২০১৬ সালে ৫৮ লক্ষ টাকা মূল্যের ২ গন্ডা জায়গা ক্রয় করেন। পরে মেঘনা ব্যাংক পিএলসি থেকে ৩০ লক্ষ টাকা ঋণ নেন মেসার্স আজগর এন্ড কোম্পানীর নামে ১৫৩৫ নং বন্ধকী দলিল মূলে। পরে ২০১৮ সালে দলিল নং ৩৮২৩ মূলে ৫৫ লক্ষ টাকায় এই জমি বিক্রি করে দেন দুজনে।
যে জমির রেফারেন্সে এ জমি কেনাবেচা করেন ওই দুইজনে আগে ৬৪৬৪ নং দলিলে ১২ লক্ষ টাকায় সুদসহ বিক্রি করেন ফরিদ উদ্দিন মাহমুদের কাছে। যা আলী আজগর ৪৫৪৯ নং দলিলে ১৯৭৩ সালে ক্রয় করেন।
জনস্বার্থে জালিয়াতি ও অনিয়মের বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে গত ১৪ অক্টোবর অভিযোগ করেন আলী আশরাফ। সেই সঙ্গে তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও সংযুক্ত করেন তিনি।
এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর উপপরিচালক
মো. নাজমুচ্ছায়াদাত বলেন, ‘অভিযোগটি ঢাকায় পাঠানো হবে তারপর এপ্রুব হলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’