চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় দায়ের করা ২৩টি মামলার মধ্যে ১৫টির চূড়ান্ত প্রতিবেদন পুলিশ আদালতে দাখিল করেছে। এই প্রতিবেদনগুলিতে ৬০৭ জন আসামিকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
মামলাগুলো মূলত পুলিশের উপর হামলা, বিস্ফোরক আইন এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের অধীনে দায়ের করা হয়েছিল।
গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই চূড়ান্ত প্রতিবেদনগুলি জমা দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা ঘটনার সাথে জড়িত ছিলেন না। আদালত যদি এই প্রতিবেদনগুলো গ্রহণ করে, তাহলে মামলাগুলো বাতিল হয়ে যাবে।
গত ১৭ ও ১৮ জুলাই চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সঙ্গে সংঘর্ষে ৮ জন নিহত হন। এই ঘটনায় পুলিশ ২৩টি মামলা দায়ের করে এবং ৮০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী, বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করলে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা জামিনে মুক্তি পান।
পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া মামলাগুলির মধ্যে কোতোয়ালি, পাঁচলাইশ, বাকলিয়া, আকবর শাহ, চান্দগাঁও এবং খুলশী থানার মামলা রয়েছে।
মামলাগুলোতে অব্যাহতি পাওয়াদের অধিকাংশই ছাত্র এবং বিএনপি-জামায়াতের সমর্থক।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ) আবদুল মান্নান মিয়া জানিয়েছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় দায়ের করা ২১টি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন ইতিমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫টি প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে এবং বাকিগুলি পর্যায়ক্রমে জমা দেওয়া হবে।