বাংলাধারা প্রতিবেদন »
প্রবল গতিবেগ নিয়ে বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বুলবুল।ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছেন চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা। নগরীর ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা থেকে সারাদিনে ৫০ হাজার মানুষকে সরিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় প্রশাসনের মনিটরিং সভায় বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান একথা জানান ।
আবদুল মান্নান জানান, ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা থেকে সারাদিনে ৫০ হাজার মানুষকে সরিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মাইকিং অব্যাহত রয়েছে৷ আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ইউএনও, এসিল্যান্ড ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তত্ত্বাবধানে খাবারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি জানান, পতেঙ্গা সি-বীচসহ আশপাশের এলাকা থেকে ভাসমান দোকানগুলো তুলে দিয়ে সকল লোকজনকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া জেলায় ৪৭৯টি আশ্রয় কেন্দ্রসহ ৪ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপজেলাসহ জেলার সকল সরকারি অফিস সারাদিন খোলা রেখে ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি মনিটরিং করা হয়েছে। কন্ট্রোল রুম থেকে সার্বক্ষণিক জরুরী তথ্য সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, নগরীর এসিল্যান্ডদের নেতৃত্বে বাটালি হিল, মতিঝর্ণা এলাকার পাহাড় থেকে লোকজন সরিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। সকাল থেকে লালখানবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৮টি পরিবারের ২৯ জন এ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করেছেন। চান্দগাঁও সার্কেলের আওতাধীন এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ ও তার প্রভাবে ভারী বর্ষণ, পাহাড় ধবসের আশংকা সংক্রান্ত মাইকিং চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যেই ‘রৌফাবাদ আদর্শ বিদ্যালয়’ ও ‘আল হেরা ইসলামিয়া মাদ্রাসা’ কে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে | রৌফাবাদ আদর্শ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে ৭০ পরিবার ও আল হেরা ইসলামীয়া মাদ্রাসায় ১০০ পরিবারকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে জেলাপ্রশাসন হতে আশ্রয়কেন্দ্রে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনীয় নগদ টাকা, জি.আর চাল, শুকনো খাবার, ঢেউটিন ও তাঁবু প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত আছে ২৯০টি মেডিকেল টিম, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, ফায়ার সার্ভিস, বিএনসিসি, স্কাউট, সেচ্ছাসেবক টিমসহ সকল সহযোগী সংস্থা। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ, নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে এবং তারা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম