অবশেষে চট্টগ্রামের বিভিন্ন ব্যবসায়ী মহলের দাবির প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালনা পর্ষদ থেকে পদত্যাগ করছেন সকল পরিচালকগণ। বর্তমান কমিটির সকল পরিচালকগণ সমসাময়িক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আলোচনার মাধ্যমে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের বৃহত্তর স্বার্থে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বর্তমান সভাপতি ওমর হাজ্জাজ।
তিনি বলেন, সম্প্রতি দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির পাশাপাশি বিভিন্ন মহল থেকে দাবি দাওয়া নিয়ে আন্দোলন, সভা সমাবেশ হচ্ছে। চিটাগাং চেম্বারের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের পদত্যাগ চেয়েও বিভিন্ন ব্যবসায়ী মহল সমাবেশ করেছেন। আমরা বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের বৃহত্তর স্বার্থে এবং চট্টগ্রাম চেম্বারের কার্যক্রম নির্বিঘেœ চলার স্বার্থে সকলে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, আমরা ইতিমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে পদত্যাগের সিদ্ধান্তের বিষয় জানিয়েছি। এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে একজন প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে এবং দ্রæত নতুন একটি নির্বাচন দিয়ে সকলের অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি।
এদিকে পদত্যাগের সিদ্ধান্তের পর একে একে পরিচালকগণ তাদের পদত্যাগ পত্র চট্টগ্রাম চেম্বারে জমা দিয়ে যাচ্ছেন। গতকাল রবিবার একদিনেই ৯জন তাদের পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন। বাকিরা আজ সোমবার পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।
গতকাল যারা পদত্যাগ পত্র জমা করেছে তাদের মধ্যে রয়েছেন, সহ-সভাপতি রাইসা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী রাইসা মাহবুব, পরিচালকদের মধ্যে এ. এস. শিপিং লাইন্সের স্বত্বাধিকারী অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), আর.এম. এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আলমগীর পারভেজ, হোসেন ফিশারিজের স্বত্বাধিকারী মাহফুজুল হক শাহ, সিপিডিএল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার ইফতেখার হোসেন, মডার্ন হ্যাচারী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সুফিয়ান চৌধুরী, পিএইচপি মোটরস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আক্তার পারভেজ, আজাদ সিন্ডিকেটের স্বত্বাধিকারী মো. রেজাউল করিম আজাদ এবং এফ. এ. ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম।
এর আগে গত বুধবার চট্টগ্রাম চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদ থেকে তরফদার মো. রুহুল আমিন এবং পরিচালক জহিরুল ইসলাম চৌধুরীর পদত্যাগ করেছিলেন