ছোট খাটো দেওয়ানী ও ফোজদারী মামলার কারণে মামলার চাপ ও জট বাড়ছে উচ্চ আদালতে। স্থানীয় বিরোধ স্থানীয় ভাবে নিস্পত্তি হলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বিচারিক সেবা নিশ্চিত করা সহজ হয়।গ্রাম আদালত সক্রিয় হলে উচ্চ আদালতে মামলার জট কমবে। এমন মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ রূপন কুমার দাশ।
গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলদেশ সরকার, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এর সহায়তায় স্থানীয় সরকার বিভাগ বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্প।
সোমবার (১৪ মার্চ) সকাল ৯.০০ টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় গ্রাম আদালত বিষয়ক ২ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ।
ডিস্ট্রিক্ট রিসোর্স টীমের মাধ্যমে উপজেলা রিসোর্স টীমের সদস্যদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম।
স্থানীয় সরকার চট্টগ্রামের উপপরিচালক মো. নোমান হোসেনের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্প চট্টগ্রামের ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার সাজেদুল আনোয়ার ভূঞার সঞ্চালনায় প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী পূর্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্প বাস্তবায়ন সহযোগি সংস্থা ইপসায়ের প্রকল্প সমন্বয়কারী ফারহানা ইদ্রিস।
এসময় সেশন পরিচালনা করেন হাটহাজারীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মো :তারেক আজিজ ও জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার রূপন কান্তি দাশসহ ডিস্টিক্ট রিসোর্স টিমের সদস্যবৃন্দ।
এসময় বক্তারা বলেন, গ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্থানীয় বিরোধ নিষ্পত্তিতে এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতকে সক্রিয় করা প্রয়োজন। গ্রাম আদালত নিস্ক্রিয় থাকলে জনগণ যেমন ভোগান্তির শিকার হয় তেমনি মামলা নিস্পত্তির দীর্ঘ সুত্রিতা তৈরি হয় ।ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা আইন ও বিধি জানেনা বলেই বিচার ও সঠিক ভাবে করতে পারেনা। ইউনিনের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা আন্তরিক হলেই সক্রিয় হবে গ্রাম আদালত।বিচারিক কাজ পরিচালনায় চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যগণ আইন ও বিধি অনুসরণ করার ক্ষেত্রে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন প্রশিক্ষণ।
এছাড়াও গ্রাম আদালত আইন ও বিধিমালা বিষয়ক আলোচনা,ভিডিও প্রদর্শন সহ গ্রাম আদালত বিষয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
এ প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীরা উপজেলা পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন বলে মতামত ব্যক্ত করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তগন।
২টি ব্যাচে অনুষ্ঠিত এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন চট্টগ্রাম জেলার ৮টি উপজেলার (সীতাকুন্ড,মিরসরাই,হাটহাজারী,পটিয়া,চন্দনাইশ,কর্ণফুলী,আনোয়ারা,বাশখালী)উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারি কমিশনার (ভূমি) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা,উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা,মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা সমন্বয়কারীগণ উপস্থিত ছিলেন।