কাঁধে কিটস ব্যাগ, গায়ে কারাতের পোশাক নিজের পরিচয় বহন করেই শনিবার চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সামনে জড়ো হয় চট্টলার শত শত ক্রীড়াপ্রেমী কিশোর-তরুণ। স্কুলের গণ্ডি পেরোনো কিংবা সদ্য পা রাখা এই তরুণরা হয়তো এখনো আন্দোলনের ভাষা পুরোপুরি বোঝে না, তবে তারা বুঝে—নিজের খেলার মাঠকে রক্ষা করতে হলে , সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আওয়াজ তুলতে হবে।
পূর্ব পরিচিত এম এ আজিজ স্টেডিয়াম—যার নতুন নাম চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়াম। এখান থেকেই উঠে এসেছেন বাংলার ক্রিকেট কাপ্তান তামিম ইকবাল খান, ফুটবলার মামুনসহ নানা ইভেন্টের ক্রীড়াবিদরা। প্রতিদিন এখানে চলে প্রায় ২৭টি ইভেন্টের অনুশীলন। তবে হঠাৎ করে থমকে যায় সেই চেনা চিত্র। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ঘোষণায় জানানো হয়, চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামকে ২৫ বছরের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়ে অন্য ইভেন্টের ক্রীড়াবিদরা।
এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আয়োজিত হয় বিক্ষোভ সমাবেশ। ব্যানার হাতে, দৃপ্ত চোখে অংশ নেয় খুদে খেলোয়াড় থেকে শুরু করে অভিজ্ঞ ক্রীড়াবিদরা। ‘সবার জন্য মাঠ চাই’, ‘এক ইভেন্টের জন্য মাঠ নয়’এমন স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে স্টেডিয়ামের সামনের প্রাঙ্গণ।
কেবল ক্রীড়াবিদ নয়, চট্টগ্রামের বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক, প্রশিক্ষক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও একাত্মতা জানান এই দাবির সঙ্গে। তাদের দাবি, এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সব সময় ছিল বহুমুখী ইভেন্টের প্রাণকেন্দ্র, একে একক কোনো ইভেন্টের জন্য বরাদ্দ দেওয়া মানে চট্টগ্রামের ক্রীড়া ঐতিহ্যকে ধ্বংস করা।
ছোট ছোট খেলোয়াড়দের হতাশ মুখ, হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা স্বপ্ন ভাঙার আশঙ্কা। এই প্রতিবাদে যেন প্রতিফলিত হচ্ছে গোটা চট্টগ্রামের ক্রীড়ামন।
এআরই/বাংলাধারা স্পোর্টস