ksrm-ads

২৮ এপ্রিল ২০২৫

ksrm-ads

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে টেন্ডার অনিয়মের অভিযোগ

বাংলাধারা প্রতিবেদন  »

চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে একটি টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। গত ৮ ডিসেম্বর ২০২০ইং তারিখে বিমানবন্দরে বিদেশ হতে আগত যাত্রী সাধারণের গন্তব্যস্থলে ভাড়ায় পরিবহনের জন্যে এসি/নন-এসি ট্যাক্সিক্যাব/কার ও মাইক্রোবাস/সিএনজি ও রেন্ট এ কার কাউন্টার(আয়তন ৬৪.০০ বর্গফুট) পরিচালনার ইজারার দরপত্রে অংশগ্রহণের জন্যে ৮ টি শিডিউল বিক্রি হয়।

জানা যায়, তার মধ্যে নির্ধারিত সময় দুপুর বারোটার মাঝে টেন্ডার জমা দেয়ার নিয়ম থাকলেও অভিযোগ উঠেছে কে.এন এন্টারপ্রাইজ নামক স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠান দুপুর সাড়ে বারোটার কিছু আগে নিয়ম বহির্ভূতভাবে টেন্ডার প্রদান করে। পরে কর্তৃপক্ষের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে কে.এন এন্টারপ্রাইজ টেন্ডারটি বাগিয়ে নেয়।

টেন্ডারে অংশগ্রহণকারী নজির আহমদ বাংলাধারাকে বলেন, ‘নির্দিষ্ট সময়ের পরে কে.এন এন্টারপ্রাইজ নিয়ম বহির্ভূতভাবে টেন্ডার প্রদান করে এবং সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে টেন্ডারটি বাগিয়ে নেয়। এই বিষয়ে আমাদের অভিযোগ বিমানবন্দর ব্যবস্থাপককে জানিয়েছি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টেন্ডারে অংশগ্রহণকারী একজন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মত প্রতিষ্ঠানে এমন জালিয়াতির বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ করেছি, সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যান অবশ্যই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলে আমরা আশা রাখি।’

এ ব্যাপারে বিমানবন্দরের সম্পত্তি কর্মকর্তা মশিউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারছি না। আপনারা বিমানবন্দর ব্যবস্থাপকের সাথে যোগাযোগ করুন।’

টেন্ডার অনিয়মের বিষয়ে বিমানবন্দর ব্যবস্থাপকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘দেখুন, আমাদের একটা সমস্যা হচ্ছে আমরা সবাইকে অসাধু মনে করি। এখানেইও একই ঘটনা ঘটেছে। কে. এন এন্টারপ্রাইজ সবার শেষে তবে নির্দিষ্ট সময়ে টেন্ডার জমা দিয়েছে।’

টেন্ডারে অংশগ্রহণকারীদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক বলেন, ‘এই টেন্ডার নিয়ে আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত অনিয়মের কোন অভিযোগ আসেনি। তবে টেন্ডার গ্রহণে বাধা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে কে.এন এন্টারপ্রাইজ একটি লিখিত অভিযোগ আমাদের দিয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে কে.এন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারীর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে।

বাংলাধারা/এফএস/এআর

আরও পড়ুন