চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে নগরীর ১৫৬টি ভোটকেন্দ্রে বসানো হচ্ছে ১ হাজার ৪০৭টি সিসি ক্যামেরা। ভোটের দিন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালালে এসব সিসি ক্যামেরা দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এছাড়াও ভোটকেন্দ্রের গোপনকক্ষের বেষ্টনী কাপড়ে ভোটকেন্দ্র নম্বর ও কক্ষ নম্বর লেখা থাকবে। যেসব নম্বর দেখা যাবে সিসি টিভিতে। নির্বাচনের দিন ভোটকক্ষের পরিস্থিতি মনিটরিং করার লক্ষ্যে এ ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। মনিটরিং কক্ষ থেকে এ ভোটকেন্দ্র ও কক্ষ নম্বর দেখেই প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে। এমনকি পরিস্থিতি বিবেচনায় গ্রেপ্তারের নির্দেশনাও আসতে পারে।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, ভোটের দিন নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং কর্মকর্তার সম্মেলনকক্ষ থেকে সিসি ক্যামেরায় ভোটকেন্দ্রের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। ভোটকেন্দ্রে কোন প্রার্থী যাতে উত্তাপ ছড়াতে না পারে সেদিকে কঠোর নজরদারি থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ২ জুন আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে চট্টগ্রাম-১০ আসনটি শূন্য হলে এ আসনে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম। তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ জুলাই এ আসনটিতে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের প্রার্থীসহ মোট ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।