মৌসুমের শুরুতেই বাজারে চলে এসেছে রসালো তরমুজ, তবে এবার দাম এতটাই চড়া যে সাধারণ ক্রেতাদের জন্য এটি যেন ‘স্বপ্নের ফল’ হয়ে উঠেছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এবার আগাম তরমুজ চাষ হলেও, দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতাদের মধ্যে তেমন সাড়া মিলছে না।
তরমুজের দাম কেন আকাশছোঁয়া?
প্রতি বছরই মৌসুমের শুরুতে ও শেষের দিকে তরমুজের দাম থাকে বেশি। তবে এবার চাষ শুরু হলেও বাজারে এত দ্রুত তরমুজ চলে আসবে, তা ভাবেননি অনেকেই। ফলের দোকান থেকে শুরু করে ভ্যান গাড়িতে ফেরি করে বিক্রি হচ্ছে এই লাল রসালো ফল। কিন্তু আকার ও ওজন ভেদে ৪০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত দাম থাকায় মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত ক্রেতাদের জন্য এটি অধরা রয়ে গেছে।
বিক্রেতাদের দাবি, নতুন ফল হিসেবে দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতারা কম। বড় আকারের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৪০০ টাকায়, মাঝারি আকারের দাম ২০০-৩৫০ টাকা, আর কেজি দরে কিনতে গেলে ৮০ টাকার নিচে মিলছে না। ফলে সাধারণ ক্রেতারা একপ্রকার নিরাশ হয়েই ফিরে যাচ্ছেন বাজার থেকে।
তরমুজ চাষে এবার আগাম বাম্পার ফলন!
দেশের দক্ষিণাঞ্চলসহ ভোলা, পটুয়াখালী, খুলনা, যশোর, সিলেট, নোয়াখালীতে আগাম তরমুজ চাষ হয়েছে। জানা গেছে, এবার ফলন ভালো হলেও বাজারে চাহিদার ঘাটতি দেখা যাচ্ছে মূলত দামের কারণে। তবে তারা আশা করছেন, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যখন সরবরাহ বাড়বে, তখন তরমুজের দাম কিছুটা কমবে এবং ক্রেতারাও আগ্রহী হবেন।
দাম কমলে কি বাড়বে চাহিদা?
রমজানের সময় তরমুজের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। তবে দাম সহনীয় পর্যায়ে না এলে এবারের মৌসুমে তরমুজের বাজার কতটা জমবে, তা নিয়ে শঙ্কা আছে। বিক্রেতারা বলছেন, ‘দাম কিছুটা কমলে নিশ্চয়ই ক্রেতাদের আনাগোনা বাড়বে, তখন বাজারও চাঙা হয়ে উঠবে।’
তরমুজের স্বাদ পেতে অপেক্ষা করছে সাধারণ ক্রেতারা, কিন্তু দাম যদি ক্রয়ক্ষমতার নাগালে না আসে, তবে হয়তো এবারও মধ্যবিত্তের ইফতারের তালিকায় তরমুজ থাকবে শুধু কল্পনাতেই!
এআরই/এমএইচ/বাংলাধারা