ksrm-ads

১৯ এপ্রিল ২০২৫

ksrm-ads

চবিতে অবরোধ স্থগিত—শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে বললেন নওফেল

বাংলাধারা প্রতিবেদন »

সাংগঠনিক দাবি-দাওয়া নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট করা, ভাংচুর করা, অপহরণ করা, অপরাধের হুমকি দেয়া, হত্যার হুমকি দেয়া কোনোভাবেই ছাত্র সংগঠনের আদর্শিক কর্মীর কাজ হতে পারে না। নিজেদের সাংগঠনিক দাবিতে অপরাধমূলক সহিংসতা যারা করছে, তাদের বিষয়ে সংগঠন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অত্যন্ত কঠোর হওয়া প্রয়োজন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদবঞ্চিতদের চলমান আন্দোলনের বিষয়ে এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

মঙ্গলবার (০২ আগস্ট) বেলা ১১টায় মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের ফেইসবুক পেইজ থেকে এ মন্তব্য করে একটি স্ট্যাটাস দেন তিনি।

ওই স্ট্যাটাসে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ছাত্র সংগঠনের পদপদবীর বিষয়ে কোনো দাবি-দাওয়া থাকলে সংগঠনের যেকোনো কর্মী, নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করতে পারে। কোনো সাংগঠনিক দাবি থাকলে সেটি সংগঠনকে সাথে নিয়ে সমাধান করা যায়। কিন্তু সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট করা, ভাংচুর করা, অপহরণ করা, অপরাধের হুমকি দেওয়া, হত্যার হুমকি দেওয়া কোনোভাবেই ছাত্র সংগঠনের আদর্শিক কর্মীর কাজ হতে পারে না। যারা এসব করছে তারা নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থেই অরাজকতা করছে, এদের কাছে সংগঠন বা শিক্ষার মূল্য আছে বলে মনে হয় না। নিজেদের সাংগঠনিক দাবিতে অপরাধমূলক সহিংসতা যারা করছে, তাদের বিষয়ে সংগঠন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অত্যন্ত কঠোর হওয়া প্রয়োজন।

এর আগে গত রবিবার (৩১ জুলাই) মধ্যরাতে দীর্ঘ তিন বছর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ৪২৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে সহ-সভাপতি করা হয়েছে ১১৮ জনকে। এছাড়া ১১ জন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ১১ জন সাংগঠনিক সম্পাদক ছাড়াও অন্যান্য পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আরও ২৬৩ জনকে। কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে ২১ জনকে।

কমিটি ঘোষণার পর পরই পদবাণিজ্য ও অছাত্রদের রাখার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা। প্রধান ফটকে তালা দিয়ে দিনভর অবস্থান নেন তারা। এরপর সোমবার (১ আগস্ট) বিকেলে ৫ দফা দাবি ঘোষণা করে অনির্দিষ্টকালের অবরোধের ডাক দেন।

তাদের দাবিগুলো হলো-

১. মো. ইলিয়াসকে (অছাত্র, ইয়াবা ব্যবসায়ী ও টেন্ডার বাজ) বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে আজীবন বহিস্কার করতে হবে।
২. পূর্ণাঙ্গ কমিটি বর্ধিত করতে হবে।
৩. সকল অছাত্র, শিবির, বিএনপি-জামাত ও বিবাহিত কর্মীদের ঘোষিত কমিটি থেকে বাদ দিতে হবে।
৪. তাদের ৫০ জন ত্যাগী, মেধাবী ও নিয়মিত ছাত্রদেরকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করে আজকের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রদান করতে হবে।
৫। পদবীতে সিনিয়র ও জুনিয়র ক্রম ঠিক করতে হবে।

মঙ্গলবার (২ আগস্ট) সকাল ১১টায় শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল উল্লেখিত স্ট্যাটাসটি দেওয়ার পর আন্দোলনকারীরা তাদের অনির্দিষ্টকালের অবরোধ স্থগিত করেন।

এসময় আন্দোলনরত ছাত্রলীগ কর্মী মোহাম্মদ দেলোয়ার বলেন, ‘আমাদের নেতা শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল আমাদের দাবি নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। এর ভিত্তিতে আমরা অবরোধ স্থগিত করেছি।’

আরও পড়ুন :

» চবিতে অবরোধ স্থগিত

বাংলাধারা/এআই

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ