চবি প্রতিনিধি »
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সায়েন্টফিক সোসাইটির (সিইউএসএস) উদ্যোগে দ্বিতীয় বারের মতো চিটাগং সায়েন্স কার্নিভাল ২.০’অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের অডিটোরিয়াম ও এর সংলগ্ন প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী বিভিন্ন সেগমেন্টে প্রতিযোগিতামূলক এ বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি হোসাইন মোহাম্মদ বাইজিদ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীন আখতার।
এ সময় তিনি বলেন, আজকের যুগে বিজ্ঞান সর্বতোভাবে গ্রহণ না করলে আমরা পিছিয়ে যাব। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের গবেষণা ও বিজ্ঞান চর্চায় সহযোগিতা করে আসছে। করোনার সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক সম্মুখ সারিতে থেকে কোভিড-১৯ ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করেছেন। আগামী দিনেও যদি কোন মহামারী আসে তাহলে সেভাবে তার মোকাবেলা করা হবে।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের অধ্যাপক ও স্বাধীনতা পুরষ্কারপ্রাপ্ত গবেষক, বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. হাসিনা খান। তিনি বলেন, আমরা একসময় আমাদের দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে গর্ব করতাম। কিন্তু বর্তমানে সেসব প্রাকৃতিক সম্পদ আমাদের লোভ লালসার শিকারে পরিণত হচ্ছে। প্রতিনিয়ত পাহাড় কাটা, বন জঙ্গল উজাড়সহ নানাভাবে প্রাকৃতিক সম্পদ নষ্ট করছি আমরা। যার ফলে সৃষ্টি হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের মতো দীর্ঘমেয়াদী প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
তিনি আরও বলেন, বিজ্ঞান সত্যকে আলিঙ্গন করে। আমরা সত্যকে আলিঙ্গন করলে বিজ্ঞান আমাদের আলিঙ্গন করবে। আমাদের তরুণ প্রজন্ম বিশেষ করে মেয়েদেরকেও বিজ্ঞানের গবেষণা কার্যক্রমে এগিয়ে আসতে হবে। বিজ্ঞান চর্চা যতো বাড়বে, মানুষ ততো সচেতন হবে এবং পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখবে।
এর আগে বেলা ১১টায় জাতীয় সংগীত, শহীদদের শ্রদ্ধায় নিরবতা পালন ও পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত এবং অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়ার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি উপ-উপাচার্য প্রফেসর বেণু কুমার দে, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. নাসিম হাসান, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর সিরাজ উদ-দৌলা, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ড. রাশেদ মোস্তফা, চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিবেশ বিভাগের পরিচালক মফিদুল আলম, মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগের প্রফেসর বাসনা মুহুরী।
অনুষ্ঠানে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন চট্টগ্রাম সিএসএস’র উপদেষ্টা ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল-ফোরকান ও সদস্য সচিব হিসেবে সহযোগী অধ্যাপক ড. লায়লা খালেদা আঁখি।
অতিথিদের আলোচনা শেষে পোস্টার প্রেজেন্টেশন, প্রজেক্ট প্রেজেন্টেশন, হ্যাকাথন, রোবো সকার কম্পিটিশন, উপস্থিত বক্তৃতা ও কুইজ প্রভৃতি ৬টি সেগমেন্টে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি প্রফেশনালরাও অংশগ্রহণ করে। এবার সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৮০০ এর অধিক শিক্ষার্থী ও প্রফেশনালরা অংশগ্রহণ করে। প্রতিটি সেগমেন্টে তিনটি করে বিজয়ীদের পৃথক ক্যাটাগরীতে পুরষ্কার ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।