চবি প্রতিনিধি »
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত হয়েছে ‘শোকাবহ ১৫ আগস্ট’ শীর্ষক আলোচনা সভা।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকালে উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্বে করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করা হয় এবং দাঁড়িয়ে একমিনিট নীরবতা পালন করেন। এর আগে শহীদ মিনার থেকে শোক র্যালি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয় এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এছাড়া ১৫ আগস্টে সকল শহীদদের স্মরণে এবং দেশের সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে ফজরের নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল মসজিদে দোয়া মুনজাত ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের স্ব স্ব উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
সভাপতির ভাষণে ১৯৭৫-র ১৫ আগস্ট হায়েনাদের হাতে নির্মমভাবে শহীদ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, এ মহান নেতার জন্ম না হলে বাঙালি জাতি কোনদিনও অর্জন করতে পারতো না একটি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট কতিপয় দেশদ্রোহী হায়েনার দল জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে চেয়েছিল বাঙালি জাতি-রাষ্ট্রকে ধ্বংস করে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে ফেলতে, কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীদের সেই অভিলাষ পূরণ হয়নি।
তিনি বলেন, বাংলার অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর জীবনের দীর্ঘ সংগ্রামের পথ পাড়ি দিয়ে অধিকার বঞ্চিত বাংলার গণমানুষকে শোষণ-নির্যাতন থেকে মুক্ত করে প্রতিষ্ঠা করেছেন স্বাধীন-সার্বভৌম জাতি-রাষ্ট্র বাংলাদেশ; বঙ্গবন্ধু বিশ্বের নিপীড়িত-নির্যাতিত মুক্তিকামী গণমানুষের মুক্তির দিশারী। তাইতো তিনি বিশ্ব নেতা শেখ মুজিব।
ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধু তনয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশগড়ার কাজে আত্মনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমেদ এর পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আলাউদ্দিন, চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর মো. জাকির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. অঞ্জন কুমার চৌধুরী, সিনেট সদস্য প্রফেসর ড. শংকর লাল সাহা, সিন্ডিকেট সদস্য সেতু রঞ্জন বিশ্বাস, চবি কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী, মাস্টারদা সূর্যসেন হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. খালেদ মিসবাহুজ্জামান, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মো. মাহবুবুর রহমান, প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) প্রণব মিত্র চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু পরিষদ,চবি’র সাধারণ সম্পাদক মশিবুর রহমান, চবি অফিসার সমিতির সভাপতি এ কে এম মাহফুজুল হক, চবি কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন এবং কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. আবদুল হাই।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর