চবি প্রতিনিধি »
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) মূল ফটক ও পরিবহন দপ্তর বন্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী কিংবা বহিরাগত কেউ যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটায় অথবা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাবিরোধী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানানো হয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রধান ফটকে তালা লাগানো যেন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা যখন-তখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মূলফটক ও পরিবহন দপ্তরসহ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অফিস বন্ধ করে দিচ্ছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের পূর্বনির্ধারিত ক্লাস, পরীক্ষা ও সেমিনার আয়োজনে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
এছাড়া একাডেমিক ও দাপ্তরিক কাজে ক্যাম্পাসে আগত শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং সেবাপ্রার্থীদেরকে সমস্যায় পড়তে হয়। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়োর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন, কর্মঘন্টা নষ্ট এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে সেশনজটমুক্ত করার লক্ষ্যে গৃহীত পদক্ষেপ বাধাগ্রস্ত হয়।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৯ মাসে অন্তত ১০ বারের বেশি ট্রেনের শিডিউল বাড়ানো, সিএনজি চালক কর্তৃক শিক্ষার্থীকে মারধর, পূর্ণাঙ্গ কমিটি কিংবা ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে তালা লাগানো হয় প্রধান ফটকে। সর্বশেষ গত ১৯ সেপ্টেম্বর পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদবঞ্চিতদের মূল্যায়নের দাবিতে মূল ফটকে তালা লাগিয়ে ক্যাম্পাসে অনির্দিষ্টকালের অবরোধের ডাক দেয় শাখা ছাত্রলীগের ৬টি উপগ্রুপ।