চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর থাকাকালীন অর্পিত দায়িত্বের পাশাপাশি মেডিকেলের অসহায়, ঠিকানাবিহীন, হতদরিদ্র রোগীদের পাশে দাঁড়িয়ে জহিরুল হক ভূঁইয়া পরিচিত পেয়েছিলেন মানবিক পুলিশ হিসেবে। সেই পুলিশ পরিদর্শক জহিরুল হক ভূঁইয়াকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) মোট ১৯ সশস্ত্র পরিদর্শককে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পদোন্নতির দেওয়া হয়। যার মধ্যে একজন মানবিক পুলিশ কর্মকর্তা জহিরুল হক ভূঁইয়া।
জহিরুল হক ভূঁইয়া সবশেষে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে (সিএমপি) পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সোমবার (২৯ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের আদেশে তার চাকরি পুলিশ সদরদপ্তরে ন্যাস্ত করা হয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত থাকাকালে ব্যতিক্রমি সেবামূলক কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনবার আইজিপি সেবা ব্যাজ পেয়েছেন। জহিরুল হক ভূঁইয়া কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার শংকুচাইল বাজার এলাকার লড়িবাগ (ভূঁইয়া বাড়ি) মৃত কনু মিয়া ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি ২০১৯ সালে চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সিএমপির মাসিক কল্যাণ সভায় একাধিকবার বেস্ট কর্মকর্তা হিসেবে মনোনীত হন। ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ সালে টানা তিনবার আইজিপি ব্যাজ পান পুলিশের এই কর্মকর্তা। এছাড়া র্যাবে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে কয়েকবার বিশেষ পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি।
২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বর সিএমপির উত্তর বিভাগের মাসিক অপরাধ সভায় চট্টগ্রাম জেলা সহ সমগ্র চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন স্থান হতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আহত রোগীদের সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরুপ তৎকালীন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জহিরুল হক ভূঁইয়াকে ‘মানবতার দূত’উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছিল। এ সময় তাকে সনদপত্র এবং নগদ অর্থ পুরষ্কার প্রদান করেন তৎকালীন সিএমপির উত্তর বিভাগের ডিসি বিজয় বসাক।