চট্টগ্রাম নগরীর শেভরণ হাসপাতাল। এ হাসপাতালে নগর ও জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন রোগীরা। রোগী নিয়ে আসা স্বজনদের ভোগান্তি নতুন নয়। বিশেষ করে ওষুধ কেনা আর খাওয়া-ধাওয়ার বিষয়ে তাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তবে এখন তার উল্টো চিত্র। এখন সপাতালের পাশেই রয়েছে বিশ্বস্ত খাবারের হোটেল। আবার হোটেলের পাশে রয়েছে ফার্মেসিও। যা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে এ দুই দোকানে স্বস্তি মিলছে নাগরিকদের। বিশেষ করে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী ও স্বজনদের।
জানা যায়, নগরীর পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার ৫ নম্বর গেটের পাশেই ছিল সিটি কর্পোরেশনের মালিকানাধীন ঝোপ-ঝাঁড়ে আচ্ছন্ন একটি জায়গা। যেখানেই ফেলা হত ময়লা-আবর্জনা এবং এক সময় জায়গাটি ছিল মাদকের আখড়া। এমনকি দিন-দুপুরে প্রকাশ্যে চলত মাদক সেবন। রাত যতো ঘনিয়ে আসতো ততই বেড়ে যেত মাদকসেবীদের আড্ডা। স্থানীয় বাসিন্দা আর পথচারীরা সম্মুখীন হতেন বিব্রতকর পরিস্থিতির। তবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে নগরীর সৌন্দর্যবর্ধন করছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। তারই ধারাবাহিকতায় নগরীর বিভিন্ন ডাস্টবিন পরিণত হয়েছে যেন সবুজ উদ্যান। তেমনি গ্রিড ওয়ান ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সাথে চুক্তি করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। ফলে পাঁচলাইশ শেভরণ ডায়াগনস্টিক সেন্টার সামনের ঝোপ-ঝাঁড়ের জায়গাটি পরিণত হয়েছে নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনের আরেকটি অনুসঙ্গ হিসেবে। এ প্রকল্পের অধীনে পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার ৫নম্বর গেটে থেকে প্রবর্তক মোড় পর্যন্ত করা হবে প্রশস্ত নান্দনিক ফুটপাত।
দেখা যায়, শেভরণ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিপরীত পাশে সৌন্দর্যবর্ধন করা হয়েছে। প্রশস্ত ফুটপাতের পাশে সাজানো হয়েছে ফুলের বাগান। সবুজ ঘাস, নানা রঙের ফুল আর রঙিন বাতি পথচারীদের আকৃষ্ট করছে। কেউ ফুলের সাথে সেলফি তুলছেন আবার কেউ ফুলের পাশে বসে আড্ডা দিচ্ছেন। শেভরণ হাসপাতালে আসা রোগী ও স্বজনরা ভিড় জমাচ্ছেন ওষুদের দোকন ও খাবারের হোটেলে। রাত-বিরাতে যে কোন সময়ে সেবা দিচ্ছেন চসিকের আয়বর্ধক প্রকল্পের আওতায় নির্মিত এ দোকান থেকে।
হাসপাতালে রোগী নিয়ে আসা মফিজুর রহমান বলেন, আমার চাচাকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছি কয়েকদিন হলো। বাড়ি দূরে হওয়ার কারণে আমরা খাবার এ হোটেল থেকে খেয়ে ফেলি। আশেপাশে আর কোনো হোটেল না থাকলেও তারা স্বল্পমূল্যে খাবার বিক্রি করছে। অনান্য এলাকায় গলাকাটা দাম নেওয়ার প্রবণতা থাকলেও এই হোটেল এবং ফার্মেসিতে তা নেই। এছাড়াও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নও বেশ ভালো। ফলে স্বস্তি নিয়ে খাবার যেমন খেতে পারি, একইভাবে ওষুধপত্রও নিতে পারি নিশ্চিন্তে।