১৫ জুলাই ২০২৫

চসিক নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের প্রস্তুতি

বাংলাধারা প্রতিবেদন  »

প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং কর্মকর্তাদের তালিকা পুনর্বিন্যাস করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলা নির্বাচন কার্যালয়।

জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় চসিক নির্বাচনের জন্য ৭৩৫ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ৪ হাজার ৮৮৬ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এবং ৯ হাজার ৭৭২ জন পোলিং কর্মকর্তার  তালিকা তৈরি করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তাদের সবাইকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে।

নগরের ৪১টি ওয়ার্ডের ৭৩৫টি কেন্দ্রে ৪ হাজার ৮৮৬টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। এজন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১১ হাজার ৫শ ইভিএম। প্রত্যেক বুথে দুটি ইভিএম থাকবে।

বতর্মানে ভোটার সংখ্যা ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৩ জন ও নারী ভোটার ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৩ জন। ৭৩৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৭৩৩টি স্থায়ী ও দুটি অস্থায়ী।
 
গত ২০ মার্চ তিন হাজার কর্মকর্তার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে নির্বাচন কমিশন। মহানগরের ৯টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয় এ প্রশিক্ষণ, যা চলে ২৫ মার্চ পর্যন্ত।  

যেভাবে ভোট দেবেন ইভিএমে

ভোটার বুথে যাওয়ার পর পোলিং কর্মকর্তা প্রথমে আঙুলের ছাপ, ভোটার নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর বা স্মার্ট পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ভোটারকে শনাক্ত করবেন। এরপর ডাটাবেজে ভোটার বৈধ হিসেবে শনাক্ত হলেই প্রজেক্টরের ডিসপ্লে-তে সেটি দেখা যাবে। পরবর্তীতে একটি টোকেন ভোটারকে দেওয়া হবে। ভোটার টোকেন নিয়ে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাছে যাবেন। টোকেন দেখে স্ক্যানারের মাধ্যমে শনাক্ত করে ব্যালট ইস্যু করে দেবেন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা।

এরপর ভোটার গোপন কক্ষে গিয়ে পছন্দের প্রার্থী ও প্রতীক দেখে বাম দিকে বোতামে চাপ দিয়ে সিলেক্ট করে ব্যালট ইউনিটের সবুজ রঙের কনফার্ম বোতাম চেপে ভোটদান শেষ করবেন। ভুল প্রতীক সিলেক্ট হয়ে গেলে, ব্যালট ইউনিটের লাল রঙের ক্যান্সেল বোতাম চেপে পরবর্তীতে সঠিক প্রতীক সিলেক্ট করতে পারবেন ভোটার। তবে এ সুযোগ দুইবারের বেশি পাওয়া যায় না।

বাংলাধারা/এফএস/এআর

আরও পড়ুন