চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) এর প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমীকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে ৫ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে ‘শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন’ নামে কর্পোরেশনের একটি সংগঠনের নেতারা। কর্পোরেশনের চলমান কাজে ও তার দায়িত্বে ব্যপক অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা করার অভিযোগ এনে তাঁর অব্যাহতির দাবী তুলেছেন সংগঠনটি। গত ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের নিয়ন্ত্রনাধীন ওই সংগঠনের নেতারা কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে আল্টিমেটামের ঘোষণা দিয়ে চিঠি দিয়েছেন। সেই হিসাবে আল্টিমেটামের শেষ হচ্ছে আগামীকাল সোমবার।
সংগঠনটির সভাপতি কাজী মো. আবু তৈয়ব ও সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দচ সবুর খান স্বাক্ষরিত চিঠিতে সংগঠনটির নেতারা দাবী করেন, চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমী তার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সাবেক মেয়রের সাথে যোগসাজশে ব্যপক অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা করেছেন।
অভিযোগ করে সংগঠনটির সভাপতি কাজী মো. আবু তৈয়ব বলেন, স্বজনপ্রীতি করে ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেওয়া, চুক্তিতে কাজ করা এবং বিল দিতে ঘুষ নেওয়া, গোপনে দরপত্র আহ্বান করে পছন্দের ব্যক্তিকে কাজ পাইয়ে দেওয়া এবং কাজ কম করিয়ে অন্যের নামে ভুয়া প্রত্যয়ন তৈরি করে বিল উত্তোলনের করতেন নৌবাহিনী থেকে প্রেষণে আসা কর্পোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমী।
জানা গেছে, ভুয়া দরপত্র বিজ্ঞপ্তি তৈরি করে নিজের পরিচিত প্রতিষ্ঠানকে লাখ লাখ টাকার কাজ দিয়েছেন কমান্ডার কাজমী। যান্ত্রিক শাখার দায়িত্বে থেকে তিনি খাল-নালার মাটি ও আবর্জনা পরিষ্কারের নামে সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব স্কেভেটর, ড্রামট্রাকের মাধ্যমে কাজ করে জ্বালানি খরচের টাকা নিধারিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে বিল করে তা তাড়াহুড়ো হিসাব বিভাগ থেকে উত্তোলন করে নিতেন। কমান্ডার কাজমীর ছত্রছায়ায় থাকা কয়েকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ছাড়া আর কোন প্রতিষ্ঠান তেমন কোন উল্লেখযোগ্য কাজ পায়নি গত ১০ মাসে। তার অনিয়ম দুর্নীতির ব্যাপারে সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দেয়া অভিযোগও দেয়া হয়েছে।
বাংলাধারা/ফেশি
