খাগড়াছড়িতে চাঁদাবাজি মামলায় ৪ সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। খাগড়াছড়ি জেলা সদরের ভাঙা ব্রীজ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (১০ মার্চ) রাতে খাগড়াছড়ি সদর মডেল থানায় আলমগীর হোসেন নামের একজন ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা কখনো কখনো নিজেদের একাধিক পত্রিকা ও টেলিভিশনের সাংবাদিক পরিচয় দিলেও মূলত: তারা কোনো পরিচয় পত্র দেখাতে পারেননি। এ সময় গণতদন্ত স্টিকার লাগানো একটি প্রাইভেটকারও জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত গাড়ির নাম্বার ঢাকা মেট্রো-গ-১১-৩৯৬৮।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন- কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বারের বাসিন্দা মাহবুবুর রহমানের ছেলে তোফায়েল আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান রিয়াদ, খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি গচ্ছাবিলের বাসিন্দা আব্দুল মতিন মাস্টারের ছেলে মোকতাদের হোসেন ও গুইমারার বাসিন্দা জয়নাল আবেদীনের ছেলে মো. আল-আমীন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই আসামিরা গত সোমবার (১০ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে একটি প্রাইভেটকার নিয়ে খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালার রাকীব ও সেন্টুর ব্রিক ফিল্ডে গিয়ে নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চাঁদা দাবি করে। প্রথমে ব্রিক ফিল্ড মালিক সেন্টুর কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়, সেন্টু ভয়ে এক লাখ টাকা দেন। এরপর নামলার বাদী আলমগীর হোসেনের ব্রিক ফিল্ডে গিয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে তারা।
খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চার ভূয়া সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে খাগড়াছড়ি সদর মডেল থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা রুজু করা হয়েছ, মামলার তদন্ত চলছে।
এ ঘটনায় মানিকছড়ি প্রেসক্লাবের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ায় আজ মানিকছড়ি প্রেসক্লাবের অর্থ- সম্পাদকের পদ থেকে প্রেসক্লাবের সদস্য মোকতাদের হোসেন’কে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে মানিকছড়ি প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ। মানিকছড়ি প্রেসক্লাবের সদস্য ও দপ্তর সম্পাদক মো. রবিউল হোসেন লিখিত বিবৃতির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।