পটিয়া প্রতিনিধি »
রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েছিল ৪ বখাটে কিশোর। এক স্কুল ছাত্রীকে যেতে দেখে একজন পথ রোধ করে দাঁড়ায়। সে চাকু বের করে ভয় দেখিয়ে প্রেম প্রস্তাব দেন! আরেকজন ছাত্রীর হাত ধরে মোবাইল নম্বর নেয়ার চেষ্টায় ধস্তাধস্তি করেন । না হলে দেয়া হয় দেখে নেওয়ার হুমকি। অপর দুই কিশোর সেসব দৃশ্য মুঠোফোনে ভিডিও ধারন করে।
এভাবেই ফিল্মি স্টাইলে ৪ বখাটে কিশোর প্রেম নিবেদন করছিল পটিয়ার ছনহরা ষোড়শী বালা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে। সোমবার (২৪ জুন) বিকেল স্কুল ছুটির পর প্রথম সাময়িক পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। এসময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বখাটেদের ধাওয়া করে আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করে। তাদের কাছ থেকে একটি অত্যাধুনিক চাকু ও তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
আটক ৪ বখাটেরা হলেন, স্থনীয় ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ড উত্তর ছনহরা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের পুত্র মো. ফয়সাল (১৬), মো. ছৈয়দ নুরের পুত্র মো. আলা উদ্দিন (১৭), নুর মোহাম্মদের পুত্র মো. ইমরান হোসেন (১৬) এবং মো. ইউসুফের পুত্র মো. আসিব (১৫)। আটক আসিব রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র এবং বাকিরা ওয়ার্কশপের শ্রমিক ও রিকশা চালক।
ঘটনার ব্যাপারে ষোড়শী বালা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও স্কুলের শিক্ষকসহ ছাত্ররা মিলে ছনহরা ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা থেকে বখাটেদের আটক করে স্কুলে নিয়ে আসে। এসময় আটককৃতদের ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যানকে জানানো হলে তারা আইনগত ব্যবস্থা নিতে স্কুল কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেন। এরপর প্রধান শিক্ষক কে এম আব্দুল গনি পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাবিবুল হাসানকে এ বিষয়ে অবহিত করলে তিনি সাথে সাথে একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বখাটেদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে ইউএনও মো. হাবিবুল হাসান বাংলাধারাকে জানান, স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় ৪ বখাটে কিশোরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। তারা অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় গতকাল সোমবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মুচলেকা নিয়ে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়। তবে তাদের ২১ দিন পর পর সমাজসেবা ও পটিয়া থানা পুলিশের কাছে হাজিরা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর