বাংলাধারা প্রতিবেদন »
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) দেশের প্রথম আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর নির্মাণ করা হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দেশীয় সক্ষমতা যুগোপযোগী করতে এবং এ খাতে দক্ষ জনবল গড়ে তুলতে চলতি মাসের শুরুর দিকে চুয়েটের ৫ একর জমিতে এ নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৭৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক জানান, কয়েক বছর আগে চুয়েটে আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হলেও নানা জটিলতায় তা আটকে ছিল। সম্প্রতি তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ঐকান্তিক চেষ্টায় আমরা এসব জটিলতা কাটিয়ে উঠেছি। আশা করছি চলতি মানের শুরুর দিকে দেশের প্রথম এ আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর নির্মাণের কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রকল্প হাতে নেওয়ার কয়েক বছর পর নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে- এ কারণে নির্মাণ ব্যয় হয়তো কিছুটা বাড়বে। সংশ্লিষ্ট দফতরে সংশোধিত নির্মাণ ব্যয় অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।

চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম জানান, গত ফেব্রুয়ারিতে ৩২০ কোটি টাকার একটি ডিপিপি (ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট প্ল্যান) একনেক সভায় অনুমোদিত হয়েছে। এসব বড় প্রকল্পগুলো সুন্দরভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকারের প্রয়াসগুলোকে সফল ও সার্থক করে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য আমি চুয়েট পরিবারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের তরুণরা উদ্যোক্তা হওয়ার সাহস হারিয়ে শুধু চাকরির পেছনে ছুটছে। আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিখাতে উদ্যোক্তা হতে সহায়তা করবো।
তিনি আরো বলেন, চুয়েটের আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর সৃষ্টিশীল তরুণদের জন্য অপার সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে। এখানে যে কেউ যেকোনো ধরনের সৃজনশীল আইডিয়া নিয়ে আসতে পারবে।
প্রসঙ্গত, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) এর ২৬তম সভায় গতকাল ৬ জুন (মঙ্গলবার), ২০১৭ ইং একনেক চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পটির অনুমোদন দেন। বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। সম্পূর্ণ সরকারি (জিওবি) অর্থায়নে ৭৬ দশমিক ৯১ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে এ প্রকল্পটি জুলাই, ২০১৬ থেকে জুন, ২০১৯ পর্যন্ত মেয়াদে বাস্তবায়িত হবে।
এ প্রকল্পের আওতায় চুয়েট ক্যাম্পাসে ১০ তলা ভবনের ৭ তলা পযন্ত ইনকিউবেশন ভবন তৈরি হবে। ৭ তলা ভবনটির প্রতি ফ্লোরে ৫ হাজার বর্গফুট করে মোট ৩৫ হাজার বর্গফুট স্পেস থাকবে।
এছাড়া ৬ তলা ভিত্তিসহ ৪ তলা পর্যস্ত ২ টি ডরমেটরি ভবন যার প্রতি ফ্লোরে ৫ হাজার করে দুটি ভবনে মোট ৪০ হাজার বর্গফুট এবং ৮ তলা ভিত্তির ৬ তলা পর্যন্ত মাল্টিপারপাস প্রশিক্ষণ ভবন যার প্রতি ফ্লোরে ৬ হাজার বর্গফুট করে মোট ৩৬ হাজার বর্গফুট জায়গা থাকবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশীয় আইটি খাতে সফল উদ্যোক্তা তৈরি এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে উদ্ভাবনী কার্যক্রমকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি আইটি শিল্পে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের সুযোগ আরও অবারিত করার মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের আয় প্রত্যাশিত মাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হবে আশা করছে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর/টিএম