বাংলাধারা প্রতিবেদন »
প্রতিদিনের মতোই স্কুল বন্ধ করে চলে গেছেন নগরীর পাথরঘাটা এলাকার চুরিয়ালটুলি লেইন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় স্কুলের দপ্তরি। কিন্তু ভেতরে যে শিশু শিক্ষার্থী সাঞ্জু (৪) আটকে ছিল তা টের পান নি ঘুণাক্ষরেও।
সন্ধ্যায় বন্ধ স্কুলের অন্ধকার রুম থেকে শিশুর কান্না শুনে ভৌতিক কিছু মনে করে ভয়ে পুলিশকে জানান কিছু পথচারী।
খবর পেয়ে কোতোয়ালী থানা পুলিশ স্কুল খুলে আলো জ্বালিয়ে দেখতে পায় মেঝেতে বসে কাঁদছে এক শিশু।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন বলেন, কালজয়ী বাংলা ছায়াছবি ‘ছুটির ঘণ্টা’র মতোই আটকা পড়েছিল সাঞ্জু। আল্লাহর অশেষ রহমতে কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি।
তিনি বলেন, উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও শিশুটি তার নাম ছাড়া কিছুই বলতে পারছিল না। পরে স্থানীয়ভাবে অনুসন্ধান করে বের করা হয় শিশুটির ঠিকানা। শিশুটির বাবার নাম আবু আর মার নাম হোসনে আরা। কিন্তু আশ্চর্য হই তখনই যখন জানতে পারি শিশুটি যে নিঁখোজ তা জানতো না তার বাবা- মা! পরে দাদীর হাতেই তুলে দেওয়া হয় সাঞ্জুকে।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর