ksrm-ads

২২ মার্চ ২০২৫

ksrm-ads

জিয়ার ভাঙা স্যুটকেস কি জাদুর বাক্স হয়ে গিয়েছিল—প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

বাংলাধারা প্রতিবেদক »

চট্টগ্রাম পলোগ্রাউন্ড মাঠের জনসভায় আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জিয়া কিচ্ছু তার পরিবারের জন্য রেখে যায়নায় একটা ভাঙা স্যুটকেস আর ছেড়া গ্যাঞ্জি ছাড়া। জিয়া ক্ষমতায় আসতে না আসতেই হাওয়া ভবন খুলে তার ছেলে যে চাঁদাবাজি আর অর্থপাচার করেছে, রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে, হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে—এগুলি কোথা থেকে আসলো? ভাঙা স্যুটকেসটা তো আর জাদুর বাক্স হয়ে যায় নায়।

রবিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে পলোগ্রাউন্ড মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এই জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশের ৬৩ জেলার ৫০০ জায়গায় বিএনপি বোমা হামলা করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা উন্নয়ন করি। মানুষের কল্যাণ দেখি। আর বিএনপি মানুষ খুন করে, মিথ্যা কথা বলে আর মানুষকে বিভ্রান্ত করে।এটাই হচ্ছে তাদের কাজ। এই কাজই তারা করে। তারা গ্রেনেড মারতে পারে, বোমা মারতে পারে। এই চট্টগ্রামেও তাই বারবার তারা গুলি চালিয়েছে, গ্রেনেড মেরেছে। এমনকি লালদিঘী ময়দানে পরপর দুবার মিটিং করতে গিয়েছি, সেখানেও তারা গুলি চালিয়েছে। শুধু এখানেই না, সারা বাংলাদেশ জুড়ে সমস্ত বাংলাদেশে ৬৩ টা জেলায় ৫০০ জায়গায় বোমা হামলা করেছে এই বিএনপি।’

জঙীবাদ, সন্ত্রাস—এগুলি তারা সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশের মানুষকে শান্তিতে থাকতে দেয়নায়। তারা মানুষের শান্তি চায় না। ক্ষমতায় থেকে কি করেছে? দুহাতে লুটপাট। জনগণের অর্থ পচার করেছে। নিজেরা অর্থসম্পদের মালিক হয়েছে।

আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে। আওয়ামী লীগ এ দেশের স্বাধীনতা এনেছে। আওয়ামী লীগ এ দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে।’

তিনি বলেন, ‘যখন থেকে আমরা ক্ষমতায় এসেছি এই চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর আমরা করেছি। ঢাকা-চট্টগ্রাম ৪ লেইন আওয়ামী লীগ সরকার করে দিয়েছে। এটাকে আমরা এখন ৬ লেইনে উন্নীত করবো। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার আমরা রাস্তা নির্মাণ করে দিয়েছি। সাথে সাথে রেললাইন আমরা নির্মাণ করে দিচ্ছি এবং কক্সবাজারেও আমরা আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর নির্মাণ করে দিচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই চট্টগ্রামে মেডিকেল কলেজ, ৪টি বিশ্ববিদ্যালয়, মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি, মেরিন একাডেমী—এমন কোন প্রতিষ্ঠান নাই আমরা তৈরি করে দিইনায়। প্রত্যেকটা কলেজ প্রত্যেকটা উপজেলায় সরকারি কলেজ, সরকারি স্কুল আমরা করে দিয়েছি। কেন দিয়েছি? আমাদের ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া শিখবে। মানুষের মত মানুষ হবে। তারা ওই বিএনপি-জামায়াতের মতো খুনি হবেনা, দুর্নীতিবাজ হবে না, লুটেরা হবে না। সত্যিকার অর্থে দেশপ্রেমী নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।’

এর আগে ভাটিয়ারিতে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে তিনি হেলিকপ্টারে করে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে নামেন। সেখান থেকে সিআরবি হয়ে পলোগ্রাউন্ড মাঠে আসেন। মাঠে এসেই ৩০টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন এবং চার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।

বেলা ১২টা থেকেই চট্টগ্রামের স্থানীয় এমপি ও কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেওয়ার মাধ্যমে শুরু হয় জনসভার আনুষ্ঠানিকতা। বক্তব্যে নেতারা চট্টগ্রামের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর নেওয়া নানা প্রকল্পের বিবরণ তুলে ধরছেন। আগামীতেও প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত নৌকার প্রার্থীদের ভোট দিয়ে জয়ী করার আহ্বান জানান।

এদিন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুপুরের জনসভায় যোগ দিতে সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা পলোগ্রাউন্ডমুখী জনস্রোতে যুক্ত হয়েছেন। ভোরের আলো ফুটতেই চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রং বেরংয়ের টি শার্ট ও বাদ্যযন্ত্র নিয়ে জনসভাস্থলের আশাপাশে এসে অবস্থান নিতে থাকেন। এরপর সিআরবি, পুরোনো রেলস্টেশন, টাইগারপাস দিয়ে বানের স্রোতের মত নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে প্রবেশ করছেন। এসময় স্লোগানে-স্লোগানে মুখর জনসভাস্থল ও চট্টগ্রামের রাজপথ।

বাংলাধারা/আরএইচআর

আরও পড়ুন