শুধু দাম্পত্য সম্পর্ক নয়, বরং সব ধরনের সম্পর্কেই সুন্দর করে কথা বলা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সম্পর্কের ভেতরে অপ্রয়োজনীয় ক্ষতি বা দ্বন্দ্ব এড়াতে কিছু জিনিস আপনার যত্ন সহকারে করা উচিত। যেমন ধরুন আপনি হয়তো আপনার সঙ্গীকে কথায় কথায় এমন কিছু বলে দিতে পারেন যা তাকে ভীষণ কষ্ট দিতে পারে। আপনার সামান্য কথায়ই একটি সুন্দর সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার দিকে যেতে পারে। জেনে নিন এমন ৭টি কথা সম্পর্কে যা আপনার সঙ্গীকে কখনো বলবেন না-
‘তোমাকে বিয়ে করা আমার বড় ভুল’
বিয়ে নিয়ে আফসোস প্রকাশ করা ক্ষতিকারক হতে পারে। এটি আপনাদের সম্পর্কের বিশ্বাস এবং ভালোবাসার ভিত্তি ফাটল ধরাতে পারে। অনুশোচনা নিয়ে পড়ে থাকার বদলে একসঙ্গে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। নিজেদের কাজের দিকে মনোনিবেশ করুন এবং আপনার বন্ধনকে শক্তিশালী করার উপায় খুঁজে বের করুন।
‘তুমি ঠিক তোমার মা-বাবার মতো’
মা-বাবার মতো হওয়া মন্দ কিছু নয়। কিন্তু যখন কেউ তার স্বামী বা স্ত্রীকে এ ধরনের কথা বলে তখন তা বেশিরভাগ সময়েই নেতিবাচক অর্থ বহন করে। এর কারণে আপনার সঙ্গী বিরক্ত হতে পারে। এর পরিবর্তে একটি গঠনমূলক এবং সংবেদনশীল পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধান করুন।
‘আমি তোমাকে আর ভালোবাসি না’
এই শব্দগুলি ধ্বংসাত্মক হতে পারে এবং আপনার সঙ্গীর ওপর একটি বড় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যদি আপনার অনুভূতি নিয়ে সন্দেহ থাকে তবে সময় নিন। ভালোবাসা অল্পদিনে হতে পারে আবার অনেকটা সময়ও লাগতে পারে। তাই বলে সঙ্গীকে হুট করে ‘ভালোবাসি না’ বলে দেবেন না।
‘মা/বাবা হিসেবে তুমি উপযুক্ত নও’
আপনার সঙ্গীর প্যারেন্টিংকে উপহাস করবেন না। আপনাদের সন্তান আপনাদের দু’জনেরই অংশ। তার দেখাশোনা করার দায়িত্বও আপনাদেরই। তাই আপনার সঙ্গী যদি ভুল কিছু করে তাহলে একসঙ্গে বসে সমাধান করুন। মতবিরোধ হতেই পারে। তবে তা সন্তানের সামনে নিয়ে আসবেন না। এতে সন্তানের ওপরেও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
‘তুমি আমাদের সমস্ত সমস্যার কারণ’
বিয়ে পরবর্তী সমস্ত সমস্যার জন্য আপনার সঙ্গীকে দোষারোপ করা কোনো সমাধান নয়। এটি সমস্যা সমাধানে বাধা দেয়। এর পরিবর্তে নির্দিষ্ট সমস্যাগুলো খুঁজে বের করুন, একে অপরের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে জানুন এবং সমাধান খুঁজতে একসঙ্গে কাজ করুন।