গণঅভ্যুত্থানে মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টারদের ভূমিকা অবিস্মরণীয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, “মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টারদের কাজ সত্যিই অভাবনীয়। গত জুলাই আন্দোলনে আমরা প্রথম তথ্য পেয়েছি সিটিজেন জার্নালিস্টদের কাছ থেকে। তাদের অনেকেই মাল্টিমিডিয়ার রিপোর্টার। তারা দ্রুত ও নিখুঁতভাবে মানুষের কাছে সংবাদ পৌঁছে দিচ্ছেন।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে শেখ হাসিনার আমলে কোনো গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ছিল না। আপনাদের হাত ধরেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার হয়েছে। আমরা হাসিনাকে পুশব্যাক করতে পেরেছি আপনাদের বুদ্ধিমত্তার কারণে। গণঅভ্যুত্থানে মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকদের অবদান সারাজীবন মনে রাখা হবে।”
তিনি উল্লেখ করেন, “এই আন্দোলনে পাঁচজন সাংবাদিক শহীদ হয়েছেন। তাদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ভূমিকা কল্পনাতীত।”
প্রেস সচিব বলেন, “গতকাল ইন্টার কন্টিনেন্টালের সামনে যে ঘটনা ঘটেছে, সেখানে যদি পূর্ণাঙ্গ ভিডিও না থাকত, তাহলে পুলিশ কর্মকর্তাকে দোষারোপ করা হতো। কিন্তু ভিডিও দেখে প্রকৃত সত্য উদঘাটিত হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “ইন্টারন্যাশনাল লিগ্যাল রাইটার্স গ্রুপ যাত্রাবাড়ী হত্যাকাণ্ডের ওপর ১৫ মিনিটের একটি ডকুমেন্টারি তৈরি করেছে। জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ভয়াবহ গণহত্যার একটি বড় প্রমাণ হলো এই ডকুমেন্টারি, যা ৬,০০০ ভিডিও থেকে তৈরি করা হয়েছে। এই ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করার জন্য মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকদের স্যালুট করা উচিত।”
প্রেস সচিব আরও বলেন, “জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানে ১৪ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। এর সম্পূর্ণ দায় শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের। জাতিসংঘের মতে, তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”
তিনি আরও বলেন, “মাল্টিমিডিয়া ভিডিওগুলোই প্রমাণ করেছে শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড। তাই মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকদের অবদান অবিস্মরণীয়। শুধু কথার মাধ্যমে তাদের স্বীকৃতি দেওয়া যথেষ্ট নয়, বরং আরও আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি ও সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন।”