ksrm-ads

২৫ মার্চ ২০২৫

ksrm-ads

জাতিসংঘ পার্ক নতুন নাম ‘জুলাই স্মৃতি উদ্যান’

জুলাই স্মৃতিতে উড়াল সেতু ও জাতিসংঘ পার্ক পেলো নতুন নাম

শহীদ ওয়াসিম আকরাম নামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

‘জুলাই অভ্যুত্থানে যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁদের স্মরণে স্মৃতিচিহ্ন তৈরি করছি। যেন সারা দেশের মানুষ এবং আগামী প্রজন্ম তাঁদের অবদানের কথা জানতে পারে। ১৬ বছরের অন্যায়ের বিরুদ্ধে যাঁরা লড়াই করেছেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যাঁরা আন্দোলন করেছেন; তাঁদের মনে রাখতেই এ উদ্যোগ। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যাতে সেটি সব সময় মনে রাখতে পারে, সে জন্যই এখানে আসা।’

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) পাঁচলাইশে জুলাই স্মৃতি উদ্যান উদ্বোধন শেষে গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, যারা অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, সাড়ে ১৫ বছরের অন্যায়ের বিরুদ্ধে যারা সংগ্রাম করেছেন জীবন দিয়েছেন তাদেরও একই সঙ্গে স্মরণ করছি।

জানা গেছে, নগরের পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকায় ১৯৫৪ সালে পাঁচলাইশ পার্ক নামে স্থাপন করা হয় উদ্যানটি। ১৯৮৮ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে ব্যবস্থাপনার জন্য দেয় গণপূর্ত বিভাগ। ২০০২ সালে করপোরেশন করে এটির নাম রাখে জাতিসংঘ পার্ক। এরপর ২০১৫ সালে পার্কের ১ একর জায়গায় দুটি সুইমিং পুল ও জিমনেসিয়াম নির্মাণ করে করপোরেশন। প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এসব স্থাপনা এক দিন ব্যবহারের পরই অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে ছিল।

২০২২ সালে ‘চট্টগ্রাম জেলার পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকায় আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন জাতিসংঘ সবুজ উদ্যান উন্নয়ন’ প্রকল্প হাতে নেয় গণপূর্ত অধিদপ্তর। প্রায় ১২ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে কাজ শেষ হয়। তবে দেশে পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সেটি উদ্বোধন করা যায়নি। গত বুধবার এর নাম পাল্টে ‘জুলাই স্মৃতি উদ্যান’ রাখা হয়। শুক্রবার উদ্বোধনের পর এটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, পাঁচলাইশে ঐতিহ্যবাহী পার্ক, আমরা একসময় জাতিসংঘ পার্ক নামে চিনতাম। শৈশব এখানে কেটেছে। এটি নান্দনিকভাবে সাজানো হয়েছে। আমি মনে করি এটার দায়িত্ব চসিক, সিডিও, জেলাপ্রশাসন, আমাদের নিতে হবে। একসময় আমাদের সমন্বয় ছিল না।  এখন একসাথে মিলে কাজ করছি। একসাথে মিলে চট্টগ্রামকে সাজাতে চাই। সব কিছু জনগণের জন্য আমরা করতে চাই। পতেঙ্গাকে আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র করতে চাই। সময় লাগবে। আমরা আশা করছি, আমাদের মধ্যে যে সমন্বয় আছে এটার মাধ্যমে কাজ করতে পারলে চট্টগ্রামকে ক্লিন ও গ্রিন সিটি করতে পারবো।

জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, যে চেতনা নিয়ে আমাদের এই জুলাই অভ্যুত্থানে চট্টগ্রামের নয়জন বীর শহীদ প্রাণ দিয়েছেন, নতুন একটি গণতান্ত্রিক ইতিহাস লিখেছেন তাদের সেই চেতনা আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে পারি সরকার সেই কাজ করছে। এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। যেসব পার্ক অবৈধ দখলদারদের আওতায় রয়েছে তা উদ্ধার করবো। ইতিমধ্যে ডিসি পার্কের ১৯৪ একর জায়গা মাদকের আস্তানা থেকে রক্ষা করেছি। পতেঙ্গা মাঝখানে জৌলুস হারিয়েছিল। সেই জৌলুস ফিরিয়ে দিতে সিডিএ, সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সমন্বিত প্রচেষ্টা চলছে।

এর আগে উপদেষ্টা পতেঙ্গায় শহীদ ওয়াসিম আকরাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল আদায় কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

 

 

আরও পড়ুন