বাংলাধারা প্রতিবেদক »
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করাতে পোশাক শিল্পের উৎপাদন খাতে খরচ বৃদ্ধি পাবে, যা রপ্তানি খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
শনিবার (৬ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিজিএমইএ’র এ নেতা।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়, বহির্বিশ্বে জ্বালানি সংকটের কারণে সরকার বাধ্য হয়ে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করাতে পোশাক শিল্পের উৎপাদন খাতে খরচ বৃদ্ধি পাবে, যা রপ্তানি খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। ফলে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নিশ্চিত পিছিয়ে পড়তে হবে। করোনা সংক্রমণ পরবর্তীতে বিদেশি ক্রেতা কর্তৃক বর্তমানে বাংলাদেশে রপ্তানি আদেশ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপরদিকে বিদ্যুতের লোড শেডিং-এর কারণে জ্বালানি তেলের উপর নির্ভর করে পোশাক শিল্পের উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হচ্ছে, ফলে রপ্তানি ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে তৈরি পোশাকের মূল্যবৃদ্ধি পাচ্ছে না। ফলে শ্রমিকদের বেতন ভাতা পরিশোধে বিলম্ব/ সমস্যার কারণে শ্রমিক অসন্তোষসহ এ সেক্টরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সমূহ আশংকা রয়েছে।
ওই বিবৃতিতে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সহ নতুন করে তাইওয়ানকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা ও টালমাটাল অবস্থা বিরাজ করছে। এই প্রেক্ষিতে সরকার কর্তৃক রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি থাকা সত্ত্বেও অনেকটা বাধ্য হয়ে বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় জ্বালানি খাতে প্রদত্ত ভর্তুকি হ্রাস করে জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধি করেছে, যা অন্যান্য দেশের তুলনায় কম।
সৈয়দ নজরুল ইসলাম আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রপ্তানি বান্ধব সাহসী সিদ্ধান্তের ফলে গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশী ৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রপ্তানির মাইল ফলক বাংলাদেশ অর্জন করেছে। এর ধারাবাহিকতায় জাতীয় অর্থনীতির বৃহত্তর স্বার্থে বাংলাদেশের রপ্তানির প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প সংশ্লিস্ট খাতে জ্বালানি মূল্যবৃদ্ধি না করার জন্য বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সরকারের নিকট বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন।