বাংলাধারা প্রতিবেদন »
সাতজন কোচের সাক্ষাৎকার নিয়েছে বিসিবি। তালিকায় থাকা বেশিরভাগই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোচিং করিয়েছেন। সেই তালিকা ছোট করে মিকি আর্থার, মাইক হেসন ও রাসেল ডমিঙ্গোয় নামিয়ে আনা হয়। তাদের মধ্যে রাসেল ক্রেগ ডমিঙ্গোকে বাংলাদেশ জাতীয় দলের নতুন কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। শনিবার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন দক্ষিণ আফ্রিকান এই কোচকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
তিনি ২১ আগস্ট বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নেবেন। তার সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি। নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধান কোচ মাইক হেসন ও পাকিস্তানের দায়িত্ব ছাড়া মিকি আর্থারের নাম টাইগারদের কোচ হওয়ার দৌড়ে জোর আলোচনায় ছিল। বিপিএলে ঢাকা ডায়নামাইটসের কোচ ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান মিকি আর্থার। কিন্তু তাকে ঠেলে নতুন মেয়াদে বাংলাদেশের কোচ হলেন ডমিঙ্গো।
বিসিবির পছন্দ ছিলেন মাইক হেসনও। ভারতের কোচ হওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন হেসন। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের কোচের পদের জন্যও সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। বিসিবি হয়তো তাই হেসনকে দায়িত্ব না দিয়ে ডমিঙ্গোকে বেছে নিয়েছে। কারণ বাংলাদেশ দল নিয়ে হয়তো তার ফ্রেশ পরিকল্পনা আছে। ডমিঙ্গোকে কোচ হওয়ায় জাতীয় দলের কোচিং স্টাফের চারজনই হলেন দক্ষিণ আফ্রিকান। ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জি, ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক এবং বোলিং কোচ ল্যাঙ্গাভেল্টের বাড়ি দক্ষিণ আফ্রিকায়।
ডমিঙ্গোকে কোচ নিয়োগের ব্যাপারে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আমরা রাসেল ডমিঙ্গোকে বেছে নিয়েছে কারণ তিনি আমাদের সঙ্গে পূর্ণ মেয়াদে কাজ করতে পারবেন। আমাদের হাতে অন্য প্রার্থীও ছিলেন। কিন্তু আমরা এমন কাউকে চাচ্ছিলাম যিনি দলের সঙ্গে পুরোটা সময় কাজ করতে পারবেন। ডমিঙ্গোর সঙ্গেই আমাদের এটা নিয়ে বনিবনা হয়েছে।’
রাসেল ডমিঙ্গো ক্রিকেটার হিসেবেই ক্যারিয়ার শুরু করেন। কিন্তু ক্যারিয়ার এগোতে পারেননি। অল্প বয়সেই তিনি ক্রিকেট ছেড়ে কোচিংয়ে নেমে পড়েন। দক্ষিণ আফ্রিকার লিগ পর্যায়ে কোচিং করিয়ে তিনি সাফল্য অর্জন করেন। ২০১২ সালে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার টি-২০ দলের দায়িত্ব নেন। এরপর ২০১৩ সালে ওয়ানডে এবং টেস্টেও গ্যারি কারস্টেনের জায়গায় কোচের দায়িত্ব নেন। ২০১৭ পর্যন্ত প্রোটিয়াদের কোচের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জি এবং বোলিং কোচ ল্যাঙ্গাভেল্ট তার কোচিং প্যানেলে কাজ করেছেন।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর/টিএম