ksrm-ads

১৯ এপ্রিল ২০২৫

ksrm-ads

টানা বৃষ্টিতে ডুবছে নগর, বাড়ছে ভোগান্তি

দুই দিনের সাপ্তাহিক ছুটি শেষে আজ রোববার কর্মদিবস শুরু হলেও অফিসগামীদের বিপাকে ফেলেছে ভোর থেকে শুরু হওয়া ভারী বর্ষণ। টানা বৃষ্টিতে ডুবে থাকা নগরীতে আজ সকাল থেকে শুরু হওয়া মুষলধারে বৃষ্টি বাড়িয়ে দিয়েছে দুর্ভোগের মাত্রা। ভারী বৃষ্টি উপেক্ষা করে অফিসগামীরা হাঁটু থেকে কোমর পানি উপেক্ষা করে ছাতা মাথায় হন্তদন্ত হয়ে ছুটলেও গণপরিবহনের সংকট থাকায় পড়ছেন চরম ভোগান্তিতে। এছাড়াও দুর্ভোগে পড়েছেন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

রোববার (৬ আগস্ট) সকালে ভারী বৃষ্টির কবলে পড়ে ভোগান্তির কথা জানালেন তেমনই একজন অফিসগামী নজরুল ইসলাম। চাকরি করেন সদরঘাটের পুরাতন কাস্টমসে। তিনি বলেন, ‌‌‘সকাল থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বেড়েছে। বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তায় আসতে দেখি হাঁটু পানি। তার উপর প্রবল বৃষ্টি। ছাতা নিয়ে বের হলেও ভিজে চুপচুপে হয়ে গেছি। রিক্সা ডাকতেই ৩০ টাকার রিক্সাভাড়া চাইলো ১০০ টাকা। কয়েটা রিক্সা দেখেও ভাড়া কমাতে না পেরে শেষমেষ ১০০ টাকাতেই রিক্সায় চড়লাম। 

টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় পানির নিচে শুধু পথঘাট নয় পানিবন্দি হয়ে আছে নগরীর বিভিন্ন এলাকার হাজারো পরিবার। জরুরি প্রয়োজনেও বাসা থেকে বের হতে পারছেন না অনেকেই। কেউ বের হলেও হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি ডিঙিয়ে যেতে হয়েছে গন্তব্যে। অনেক বাসার নিচতলায় ডুবে আছে পানির নিচে।

চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ সিডিএ এলাকার বাসিন্দা তালহা চৌধুরী বলেন, আজ কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে পথঘাট ডুবে আছে। পাশাপাশি জোয়ার এলে বেড়ে যায় পানির উচ্চতা। আমাদের বাসা নিচতলায় হওয়ায় প্রতিবছরই বাসায় এ সিজনে পানি ঢুকে। তবে এবার পানির পরিমান বেশি। দরকারী আসবাবপত্র আমরা উপরতলার এক প্রতিবেশীর ফ্ল্যাটে রেখেছি। পানি যখন বেশি থাকে আমাদের পরিবারের সবাইও উপরতলায় আশ্রয় নিতে হয়।

এদিকে নগরীর উচু এলাকা নন্দনকাননের সড়কেও জমেছে পানি। গত বুধবার থেকে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত শুরু হলেও বৃহস্পতিবার রাত থেকে বাড়তে থাকে বৃষ্টির প্রকোপ। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় নগরের চকবাজার, দেওয়ান বাজার, খলিফাপট্টি, মুরাদপুর, ২ নম্বর গেইট, বহদ্দারহাট, বাদুরতলা, শুলকবহর, মোহাম্মদপুর, কাপাসগোলা, কাতালগঞ্জ, বাকলিয়া, ফিরিঙ্গিবাজার, চান্দগাঁও, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, তিন পুলের মাথা, রিয়াজুদ্দিন বাজার, মুরাদপুর, চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ, কালারপোল, বড়পোল, হালিশহরসহ বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। কোমর সমান পানি জমেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসভবনেও। এছাড়াও পানি ঢুকেছে চাকতাই-খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন পণ্যের গুদামে।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, রোববার (৬ আগস্ট) সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ২১৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস আরও জানায়, আগামী আরও কয়েকদিন বৃষ্টিপাত হবে। উত্তরপূর্ব মধ্যপ্রদেশ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি দুর্বল ও লঘুচাপে পরিণত হয়ে মৌসুমি বায়ুর অক্ষের সাথে মিলিত হয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ