কক্সবাজার প্রতিনিধি »
কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ে ঢালায় র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে এক লাখ ৪০ হাজার পিস ইয়াবা, ৪টি এলজি ও ২১ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। রোববার (১৬ জুন) ভোররাতে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ঢালা এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, কক্সবাজার পৌরসভার চৌধুরী পাড়ার সোলতানের ছেলে দিল মোহাম্মদ (৪২), একই এলাকার মো. ইউনূছের ছেলে রাশেদুল ইসলাম (২২) ও চট্টগ্রামের আমিরাবাদের মাস্টারহাট এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪৫)। এ সময় জাহাঙ্গীর ও সোহেল নামে র্যাবের দুই সদস্য আহত হন বলে দাবি করেছে অভিযানকারিরা। নিহতরা সবাই মাদক কারবারি বলে র্যাব দাবি করলেও শহিদুলকে প্রবাস ফেরত নিরহ মুদি মালামালের পাইকার ব্যবসায়ী বলে দাবি করেছে তার পরিবার।
র্যাব-১৫ এর টেকনাফ ক্যাম্পের ইনচার্জ লে. কমান্ডার মীর্জা শাহেদ মাহতাব বন্দুকযুদ্ধের তথ্য জানিয়ে বলেন, ইয়াবার চালান আসার খবরে অভিযানে গেলে র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালান মাদক ব্যবসায়ীরা। আত্মরক্ষার্থে র্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। অনেকক্ষণ গোলাগুলির পর মাদক কারবারিরা পিছু হটে। পরে ঘটনাস্থলে তিনজনের গুলিবিদ্ধ দেহ ও ১ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা ও অস্ত্রগুলো পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, মরদেহগুলো উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ জুন দুপুরে তারাবনিয়া ছড়ায় র্যাব অভিযান চালিয়ে ১লাখ ৭০হাজার ইয়াবা নিয়ে কুখ্যাত গডফাদার রবিউলসহ দুই জনকে আটক করে। এসম আটকদের সাথে থাকলেও পালিয়ে গিয়েছিলেন নিহত দিল মোহাম্মদ। এবং রোববারের অভিযানে অন্য সহযোগীসহ নিহত হয়েছেন আলোচিত ইয়াবা গডফাদার দিল মোহাম্মদ।
তবে- অপর সূত্র মতে, নিহতদের মাঝে চট্টগ্রামের আমিরাবাদের মাস্টারহাট এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪২) কে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে শনিবার সকালে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তুলে নিয়েছে বলে দাবি করেছেন তার বাবা।
শনিবার সকাল ৮টার দিকে কক্সবাজার শহরের বাজারঘাটা এলাকায় দোকান খুলতে আসেন শহিদুল। হঠাৎ একটি নোহা করে ৫জন লোক শৃংখলাবাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে তাকে তুলে নেন। তারা পরে এসে আশপাশের সিসি টিভি ক্যামেরার হার্ডডিক্স গুলোও নিয়ে যায়। এসব কথা উল্লেখ করে নিহত শহিদুলের বাবা আবুল কাশেম সওদাগর কক্সবাজার সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দিয়েছিলেন। কিন্তু থানা পুলিশ এটি গ্রহণ না করে তার ছেলের বিষয়ে খোঁজ নেবেন বলে তাদের বিদায় করেদেন।
এ বিষয়টি উল্লেখ করে রাত ১০টার দিকে তৎক্ষনাৎ সংবাদ সম্মেলনও করেন পরিবার ও দোকন মালিক সমিতির নেতারা। কিন্তু রাত পার না হতেই বন্ধুকযুদ্ধে মারা গেছেন শহিদুলসহ তিনজন।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর/বি