কক্সবাজার পৌরসভার শুটকিপল্লী খ্যাত নাজিরারটেক এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৭ জনকে আটক করেছে র্যাব-১৫ কক্সবাজারের সদস্যরা। এসময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র ও তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দিনগত রাত ১টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় বলে জানান র্যাব-১৫, ব্যাটালিয়নের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালাম চৌধুরী।
আটককৃতরা হলো, কক্সবাজারের মহেশখালীর কুতুবজোমের সোনাদিয়ার নুরু মিয়া সৈয়দুল করিম (৩০), নবীর হোসেনের ছেলে মোঃ সাগর (২২), একই উপজেলার ধলঘাটার আকতার হোছাইনের ছেলে রুহুল কাদের (২২), মৃত হাজী আবু তাহেরের ছেলে এছাম উদ্দিন আব্দুল্লাহ (১৯), কুতুবদিয়ার কৈয়ারবিলের মোহাম্মদ আলমের ছেলে দেলোয়ার (২২), উপজেলার বড়খোপের মাতবর পাড়ার মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে পারভেজ আলম (২৪) ও কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডী ঘোনারপাড়ার মৃত নুরুল হকের ছেলে মো. আবদুল মাবুদ (২৭)।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালাম বলেন, গোপন সূত্রে র্যাব জানতে পারে কক্সবাজার সদরের পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের নাজিরারটেক চরপাড়ায় বালুরচরে একটি ডাকাত দল সশস্ত্র অবস্থান করে ডাকাতি প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১৫ সদর ব্যাটালিয়নের একটি চৌকস আভিযানিক দল ওই স্থানে বিশেষ অভিযান চালায়। ডাকাত চক্র র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রসহ চারিদিকে দৌড়ে পলায়নের চেষ্টা করে। এসময় চক্রের সাত সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয়। তাদের চক্রের দুজন কৌশলে পালিয়ে যায়।
তিনি আরো জানান, পরবর্তীতে আটককৃত চক্রের হেফাজত হতে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি একনালা বন্দুক, দুটি এলজি, ৯টি তাজা কার্তুজ, দুটি দামা, একটি রাম দা, চারটি বাটন ও একটি স্মার্ট ফোন উদ্ধার করা হয়।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চক্রটি কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে নাজিরারটেকের বালুর চরে একত্রিত হয়ে সাগরে মাছ ধরা ট্রলারের মাছ এবং জাল ডাকাতি করে থাকে বলে স্বীকার করে। এছাড়াও তারা কক্সবাজারে আসা দেশী-বিদেশী পর্যটক ও স্থানীয় জনসাধারণকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাদের থেকে নগদ টাকা এবং মূল্যবান সামগ্রী ডাকাতি ও ছিনতাই করে থাকে। নানাবিধ অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি, হত্যা এবং অস্ত্রের একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তারা একাধিকবার গ্রেফতারও হয়েছিল।
উদ্ধারকৃত আলামতসহ আটককৃত ডাকাত চক্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন আবু সালাম চৌধুরী।