ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা: বর্তমান বিশ্বে চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটায় এরকম প্রধান পাঁচটি কারণের মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম।
পৃথিবীতে প্রতি ১০ সেকেন্ডে একজন ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষ মারা যায় এবং প্রতি ১০ সেকেন্ডে দুইজন ডায়াবেটিস রোগী সনাক্ত করা হয়। তবে সঠিক নিয়ম মেনে খাবার খেলে এই রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ করা সম্ভব।
ডায়াবেটিস রোগীকে খাবার নিয়ে কিছু মিথ বা ভুল ধারনা–
আমাকে সব ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে
না, আপনি সবসময়ই আপনার প্রিয় চিনি সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারবেন কিন্তু পরিমিত ভাবে ও বুঝে শুনে। যেমন, আপনি চাইলেই মিষ্টি দই বা কাস্টারড ইচ্ছে মত খেতে পারেন না। খেতে পারবেন, কিন্তু খেয়াল রাখবেন যাতে এটা স্বাস্থ্যসম্মত খাবার তালিকার অন্তর্ভুক্ত থাকে।
আপনাকে শর্করা খাবার বাদ দিতে হবে
কি পরিমাণ শর্করা খাচ্ছেন তা খেয়াল রাখতে হবে। খেয়াল রাখবেন পাতে যেন পাউরুটি, চাল বা ভাত, পাস্তা, ওটস ইত্যাদি স্টার্চ সমৃদ্ধ খাবার এর বদলে বার্লি, বাদামি বা লাল চালের ভাত, গম বা গম জাতীয় শস্য দানা ভুক্ত খাবার থাকে। কারণ শস্য দানা জাতীয় খাবার রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে বেশি ভূমিকা রাখে।
আমাকে স্পেশাল ডায়াবেটিক খাবার খেতে হবে
পুষ্টিকর খাবারের মূলমন্ত্র সবার জন্যই প্রযোজ্য, আপনি ডায়াবেটিক বা নন ডায়াবেটিক হন না কেন, দামি ও স্পেশাল ডায়াবেটিক খাবার ( যা বাজারে পাওয়া যায়) খুব একটা ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখেনা।
বেশি প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি ভাল
সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, অতিরিক্ত প্রোটিন জাতীয় খাবার বিশেষ করে প্রাণীজ প্রোটিন ইনসুলিন রেজিস্ট্যন্স এ ভূমিকা রাখে অর্থাৎ শর্করা নিয়ন্ত্রণের মূল হরমোন এর কর্মক্ষমতা হ্রাস করে। মূল কথা হল– শর্করা, আমিষ, ও চর্বি জাতীয় খাবার যাই খান না কেন তার সুষম বণ্টন কাম্য।
বিশেষত– প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি খাবার বা আন–প্রসেসড ফুড বা অপ্রক্রিয়াজাত খাবার এবং প্যাকেটহীন খাবার ডায়াবেটিস সুরক্ষা বান্ধব।
ডায়াবেটিস রোগ হলে কি খাবার বেশি খাবেন ?
- উপকারী চর্বি যেমন, বাদাম, অলিভ ওয়েল, মাছের তেল ইত্যাদি।
- শাক সবজি ও ফলমূল– মূলত পরিষ্কার, টাটকা ও রঙিন শাকসবজি ভাল। জুসের থেকে ফল বেশি খেতে হবে।
- দেশজ মাছ ও মুরগি।
- ভাল প্রোটিন জাতীয় খাবার– যেমন, ডিম, অল্প চর্বি জাতীয় দুধ, টক দই ইত্যাদি।
ডায়াবেটিস রোগ হলে কি খাবার কম খাবেন?
- ডিপ ফ্রাই খাবার বা অতিরিক্ত রান্না করা খাবার
- প্যাকেটজাত ফাস্ট ফুড, বিশেষ করে যাতে চিনি, বেকিং করা খাবার, মিষ্টি, ডেজারট, চিপস ইত্যাদি থাকে।
- সাদা পাউরুটি, চিনিযুক্ত সেরিয়াল, প্রক্রিয়াজাত পাস্তা বা চাল
- প্রক্রিয়াজাত মাছ বা মাংস
উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার ও স্লো রিলিজ কার্বোহাইড্রেট
আমাদের শরীরে কার্বোহাইড্রেট এর বিশাল ভূমিকা রয়েছে, এটি শরীরের চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, এমন কি এটির ভূমিকা চর্বি বা প্রোটিনের তুলনায় বেশি। সুতরাং কি ধরনের শর্করা জাতীয় খাবার খাচ্ছেন এ ব্যাপারে খেয়াল রাখা উচিত।
প্রক্রিয়াজাতকরণ শর্করা যেমন, সাদা পাউরুটি, চিনিযুক্ত সেরিয়াল, প্রক্রিয়াজাত পাস্তা বা চাল ছাড়াও সোডা, মিষ্টি, প্যাকেটজাত খাবার যাতে চিনি যুক্ত থাকে ইত্যাদির ব্যাপারে বিশেষ খেয়াল রাখা উচিতমনযোগী হতে হবে স্লো রিলিজ কার্বোহাইড্রেট ও উচ্চ আঁশযুক্ত খাবারের প্রতি এগুলো ধীরে ধীরে শরীরে রক্তের সাথে মিশে যা ধীরে ইনসুলিন নিঃসরণে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস রোগীর ডায়েট চার্ট এবং খাদ্য তালিকা
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের খাদ্যব্যবস্থা নিয়ে আমাদের অনেকেরই ভুল ধারণা রয়েছে। তাদের জীবনযাপন এবং খাদ্যাভ্যাসে নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খাবার নিয়ে অনেকের মনেই নানা ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে।
আজকে আমরা আলোচনা করব ডায়াবেটিস রোগীদের আদর্শ খাদ্য তালিকা এবং ডায়েট চার্ট নিয়ে।
ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ হল এমন একটি রোগ যা আমাদের খাদ্যাভ্যাসের সাথে অনেকাংশে নির্ভরশীল। জানা যায় যে, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যাক্তির হৃদ রোগজনিত সমস্যা, মানসিক রোগ, যেমন- ডিপ্রেশন এ আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা– নন ডায়াবেটিক এর থেকে প্রায় দ্বিগুণ।
কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে টাইপ-২ ডায়াবেটিস ( যাতে ইনসুলিন লাগেনা, শুধুমাত্র ওষুধে চিকিৎসা দেয়া হয় ) নিয়ন্ত্রণযোগ্য এবং কিছু ক্ষেত্রে নিরাময়যোগ্য। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে – এমন না যে, সব ধরনের খাবার থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে বা মজার খাবার খাওয়া যাবেনা এর মানে হল, সব খাবারই খাওয়া যাবে, কিন্তু পরিমিত মাত্রায়, যাতে আপনার মুড ও শক্তির সমন্বয় ঘটে।
ডায়াবেটিস রোগীর জন্য শর্করা জাতীয় খাবার ক্ষতিকর কারণ এটি রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, তাই খাবারে শর্করা জাতীয় খাবার কমাতে হবে। কিছু শর্করা জাতীয় খাবার রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা তাড়াতাড়ি বাড়ায় যেমন, চিনি, মিষ্টি, বেশি ছাঁটা চালের ভাত, ময়দার রুটি, সেগুলো কম খেতে হবে।
লাল চালের ভাত (ব্রান সহ), গমের আটার রুটি (ব্রান সহ), সবজি, বাদাম, বুট এবং কলাই জাতীয় খাদ্য রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ায় তাই এই খাবার গুলি বেশি খেতে হবে। তবে ক্যালরির হিসেব রাখতে হবে অবশ্যই।
ডায়াবেটিস রোগীর জন্য মোট ক্যালরির ২০% আসবে আমিষ থেকে, ৩০% আসবে ফ্যাট থেকে এবং ৫০% আসবে শর্করা থেকে। এখানে একজন ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ১৬০০ কিলোক্যালরির চাহিদার একটি স্যাম্পল ডায়েট চার্ট বা খাবারের মেন্যু দেয়া হল।
আসুন মনোযোগ দিয়ে একটু দেখে নেই ডায়াবেটিস রোগীর ডায়েট চার্ট এবং খাদ্য তালিকা।
ডায়াবেটিস রোগীর সকালের নাস্তা
সকালের নাস্তায় ফল থাকাটা খুব জরুরী। ফল শরীরে ক্যালরির অভাব পূরণ করে কোন ক্ষতি ছাড়াই। কলা, আপেল, কমলা, মাল্টা, স্ট্রবেরি এসব ফল স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারি।
টক দই
নাস্তায় টকদই অথবা চিনি ছাড়া ফ্যাট ফ্রি ঘরে পাতা দই যোগ করতে পারেন। এটি হজমশক্তি বৃদ্ধি করে এবং শরীরে ক্যালসিয়াম এর অভাব পূরণ করে।
ডিম এবং সুগার ফ্রি ব্রাউনব্রেড
টমেটো, পেঁয়াজ দিয়ে একটি ডিম অলিভ অয়েল এ ভেজে নিন। সাথে নিতে পারেন ফ্যাট ফ্রি চিজ এবং সুগার ফ্রি ব্রাউনব্রেড।
মিক্সড ব্রেকফাস্ট
ফ্যাট ফ্রি টকদই, মিক্সড ড্রাই ফ্রুটস, বাদাম, ওয়াল নাটস, কর্ণফ্লেক্স মিক্সড করে খেয়ে নিতে পারে। এটা পুষ্টিকর এবং উপকারি।
ওটসমিল
রান্না করা ওটসমিল, বাদাম, সিনামন আর মিষ্টির জন্য চিনির বদলে অন্য কিছু মিলিয়ে মিক্সচার তৈরি করে নিন। এরপর লো ফ্যাট দুধের সাথে এটি খেয়ে নিতে পারেন।
কর্ণফ্লেক্স এবং ক্রিম চিজ খুব তাড়াহুড়ো থাকলে কর্ণফ্লেক্স এর সাথে লাইট ক্রিম চিজ মিলিয়ে দুধের সাথে খেয়ে নিতে পারেন। চটপট নাস্তাও হয়ে যাবে সাথে ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
সকালের নাস্তা (সকাল ৭.৩০ – ৮ টা)
রুটি (১ সারভিং) | ১ টা গমের আটার রুটি (মিডিয়াম) |
দুধ (১ সারভিং) | ১ গ্লাস ফ্যাট ছাড়া দুধ বা স্কিম মিল্ক |
ডিম (১ সারভিং) | ১ টা মুরগী অথবা হাঁসের ডিম (সিদ্ধ অথবা ভাঁজি) |
শাক সবজি (১ সারভিং) | ১ কাপ পাতা যুক্ত শাক বা ১/২ কাপ সবজি |
ডায়াবেটিস রোগীর দুপুরের খাবার
স্যালাদ: বিভিন্ন ধরণের সবজি যেমন শসা, টমেটো, লেটুস পাতা, পার্সলে পাতা, গাজর সব মিলিয়ে একটি স্যালাদ অবশ্যই প্রতিদিনের খাবার তালিকায় রাখতে হবে।
মাছ বা মাংস: এক টুকরো মাছ অথবা মাংস খাবার তালিকায় রাখবেন। কিন্তু রেড মিট একেবারেই খাবেন না। মুরগির এক বা দুই পিস এবং যেকোন মাছ থাকতে পারে। ভাত খাওয়া উচিত নয়। আর খেলেও মেপে এক কাপ এর বেশি না।
ফল: হালকা কিছু ফল খাবার পর খেতে পারেন। এতে শরীর সতেজ থাকবে।
শাক-সবজি ও ডাল খাবার তালিকায় বিভিন্ন রকমের ডাল এবং সবজি রাখতে হবে। তবে খুব বেশি ঝাল মশলা দিয়ে না। দুপুরের খাবারে লাল শাক, পালং শাক,পুঁই শাক ইত্যাদি নানা ধরণের শাক থাকতে পারে।
দুপুরের খাবার (দুপুর ১.৩০ – ২ টা)
ভাত (৩ সারভিং) | দেড় কাপ ভাত |
মাছ অথবা মাংস (২ সারভিং) | ৬০ গ্রাম পরিমাণ রান্না করা মাছ বা মাংস (ফ্যাট ছাড়া) |
শাক সবজি (৪ সারভিং) | ১ কাপ পাতা যুক্ত শাক খাকবে অবশ্যই, বাকী দেড় কাপ অন্যান্য সবজি |
ডাল (১ সারভিং) | ১ কাপ মাঝারি ঘন ডাল |
ডায়াবেটিস রোগীর বিকেলের নাস্তা
ডায়াবেটিস রোগীদের কিছুক্ষণ পর পরই হালকা কিছু নাস্তা করা উচিত। যেমন, চিনি ছাড়া বিস্কিট, ব্রেড,মুড়ি ইত্যাদি। বিকেলের নাস্তায় তাই হালকা কিছু খাবার রাখা যেতে পারে।
চা: গ্রিন টি অথবা মশলা চা চিনি ছাড়া খেতে পারেন। সাথে বিস্কিট, মুড়ি বা টোস্ট।
হালুয়া: ক্যাল ফ্রি দিয়ে গাজর বা সুজির হালুয়া খেতে পারেন। বুটের হালুয়াও বেশ স্বাস্থ্যকর।
শরবত ঘরে বিভিন্ন ফলের শরবত চিনি ছাড়া বানিয়ে নিন।
বিকেলের নাস্তা ( বিকেল ৫.৩০ – ৬ টা)
সিজনাল ফল (১ সারভিং) | পছন্দমত ১ সারভিং সিজনাল ফল |
বাদাম, বুট এবং কলাই জাতীয় খাদ্য (১ সারভিং) | ১/৪ কাপ বাদাম বা বুট বা কলাই জাতীয় খাদ্য |
ডায়াবেটিস রোগীর রাতের খাবার
রাতের খাবার চালের অথবা আটার রুটি
রাতে ভাত খাওয়াটা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য একেবারেই উচিত না। তাই চাল, গম অথবা আটার পাতলা ৩টি থেকে ৪টি রুটিই রাতের জন্য যথেষ্ট।
সবজি
রাতে রুটির সাথে হালকা সবজি খাওয়া যেতে পারে। পেটে গ্যাসের সমস্যা হলে ফল খাওয়ার দরকার নেই। মাছ রাতে মাংস না খাওয়াই ভাল। এক পিস মাছ খাওয়া যেতে পারে।
নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি প্রচুর পানি পান করতে হবে, প্রতিদিন হাঁটতে যেতে হবে। কিছু হালকা ব্যায়ামের সাথে ওষুধ এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে।
রাতের খাবার (রাত ৯ টা – ৯.৩০)
রুটি অথবা ভাত (১ সারভিং) | ১/২ কাপ ভাত অথবা ১ টা আটার রুটি |
মাছ অথবা মাংস (২ সারভিং) | ৬০ গ্রাম পরিমাণ রান্না করা মাছ বা মাংস (ফ্যাট ছাড়া) |
শাক সবজি (২ সারভিং) | ১ কাপ পাতা যুক্ত শাক খাকবে অবশ্যই, বাকী আধা কাপ অন্যান্য সবজি |
সিজনাল ফল (১ সারভিং) | ১ সারভিং সিজনাল ফল |
ডায়াবেটিস রোগী কি খাওয়া উচিত ও কি খাওয়া উচিত না
অধিক চিনি যুক্ত খাবার, বেশি তেলে ভাজা পোড়া খাবার, মিষ্টি জাতীয় পানীয়, ট্রান্স ফ্যাট যুক্ত খাবার, প্রানিজ ফ্যাট, রিফাইন্ড করা বা চকচকে সাদা ময়দার তৈরি খাবার, মধু বা সিরাপ জাতীয় খাবার, মিষ্টি জাতীয় শুকনা ফল এবং প্রক্রিয়া জাত করা স্নাক ফুড কখনই খাবেন না।
- চট্টগ্রামের সাবেক বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হোসনে আরা আর নেই
- রামুতে হাজারো পরিবারে সুপেয় পানির চাহিদা মেটাচ্ছে ‘হাইসাওয়া’
- বিনামূল্যে চিকিৎসা পরামর্শ ‘ডক্টরস ইনফরমেশন চিটাগং’ গ্রুপে
- কক্সবাজার বাড়ছে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা
- চমেবির নতুন ভিসি অধ্যাপক ডা. ওমর ফারুক ইউসুফ
ডায়াবেটিক রোগীদের আঁশবহুল খাবার যেমন ডাল, শাক, সবজি, ঢেঁকি ছাঁটা চাল, গমের আটার রুটি, টকফল বেশি খেতে হবে। কারণ আঁশ জাতীয় খাদ্য রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরে ক্ষতিকর লিপিড এবং কলেস্টোরেলের মাত্রাও কমিয়ে দেয়।
রসালো ফল যেমন, আম, কাঁঠাল, কলা, লিচু, আঙ্গুর, তরমুজ, পেঁপে, আনারস এসব ফল সীমিত পরিমাণে খেতে কারণ এতে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে। টক ফলে শর্করা কম থাকে। ডায়াবেটিক রোগীর উপকারী ফলের তালিকায় থাকবে লেবু, আমলকী, সবুজ আপেল, বাতাবি লেবু। এ তালিকার নিচে থাকবে কলা, আম, কাঁঠাল ইত্যাদি। অপকারীর তালিকার দুটি ফল হল কামরাঙা ও আঙ্গুর।
প্রাণীজ চর্বির পরিমাণ কমিয়ে উদ্ভিজ চর্বির পরিমাণ বাড়ানো উচিত। সম্পৃক্ত চর্বি যেমন- ঘি, মাখন, চর্বি ডালডা, চর্বিযুক্ত মাংস ইত্যাদি কম খেতে হবে। এর পরিবর্তে অসম্পৃক্ত চর্বি যেমন- উদ্ভিজ তেল অর্থাৎ সয়াবিন তেল, সরিষার তেল এবং মাছ খেতে হবে। ডিমের হলুদ অংশে কলেস্টোরেল বেশি থাকে তা কম খাওয়া উচিত।