‘‘ডালিয়া তাঁর শৈশবকৈশোর ভুলতে পারেন না বলেই বারবার তাঁকে ছায়াময় মায়াময় ফেলে-আসা সময়ে ফিরে যেতে হয়। বাস্তবতাকে, নিয়ত নিষ্ঠুর সত্যকে তিনি অতিক্রম করতে পারেন না। হয়তো চানও না। তাঁর ‘সময়’, ‘সাগর’ ইত্যাদি কবিতায় চমৎকারভাবে এ-বাস্তবতা ফুটে উঠেছে। কবির ‘মার্বেল’ কবিতাটি আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। মেয়েদের অধিকারের সীমাবদ্ধতা মাত্র ছ-লাইনের এ-কবিতায় অসাধারণভাবে প্রকাশিত হয়েছে।’ গত ২৮ সেপ্টেম্বর, শনিবার, চট্টগ্রাম শহরের কদম মোবারকস্থ নারীকণ্ঠ পত্রিকা-আয়োজিত কবি ডালিয়া নাহারের কার্নিশে মাধবীলতা কাব্যের আলোচনা-অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এ-কথা বলেন নারীকণ্ঠ-র প্রধান সম্পাদক, সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ তহুরীন সবুর ডালিয়া।
কার্নিশে মাধবীলতা নিয়ে আলোচনায় আরও অংশ নেন নারীকণ্ঠ-র উপদেষ্টা ও লেখক বিচিত্রা সেন। প্রসঙ্গত তিনি বলেন, ‘বৈচিত্র্যপূর্ণ বিভিন্ন বিষয় অবলম্বনে লেখা হলেও এ-কাব্যে প্রকৃতির প্রতি বিশেষ একটি ঝোঁক প্রতিভাত হয়েছে। কবি পেশায় চিকিৎসক হলেও জগতের অন্যান্য বিষয়ও যে তাঁর মনে অনুরণন তোলে তার প্রকাশ এ-বইয়ের কবিতায় আমরা দেখতে পাই।’ নারীকণ্ঠ-র সম্পাদক ও প্রকাশক শাহরিয়ার ফারজানার সভাপতিত্বে ও গল্পকার আহমেদ মনসুরের উপস্থাপনায় আয়োজিত এ-অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন নারীকণ্ঠ-র উপদেষ্টা রোকসানা বন্যা। এছাড়াও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা খালেদা আউয়াল ও জিনাত আজম। কার্নিশে মাধবীলতা-র প্রকাশক খড়িমাটি-র কর্ণধার কবি মনিরুল মনির তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘কবিতা হলো সাহিত্যের প্রাচীনতম শাখা। বিভিন্ন সময়ে লেখা কবির কবিতাগুলো মলাটবদ্ধ করে পাঠকের হাতে তুলে দেওয়ার প্রচেষ্টা ছিল। পাঠক বইটি সাদরে গ্রহণ করলে আমাদের পরিশ্রম সার্থক হবে।’
কবি ডালিয়া নাহার তাঁর অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘ছোটোবেলা থেকে কবিতার প্রতি আসক্ত ছিলাম। স্কুলে রঙিন ছবিযুক্ত কবিতাবই বিশেষভাবে আকৃষ্ট করত। এভাবে কবিতা আমাকে তীব্রভাবে টেনে নেয়। নারীকণ্ঠ-কে অনেক ধন্যবাদ জানাই আমার বই নিয়ে এরকম একটি আয়োজন করার জন্য। কবিতাবোদ্ধা পাঠকদের আলোচনায় আমি অনেক ঋদ্ধ হয়েছি।’
আলোচনা-অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নারীকণ্ঠ পত্রিকার উপদেষ্টা ও সদস্য সাহানা আখতার বীথি, আসরাফুন্নেসা, চম্পা চক্রবর্ত্তী, আক্তার বানু ফ্যান্সী, নুরুন নাহার ডালিয়া, কানিজ ফাতেমা, মুয়িন পারভেজ প্রমুখ।
বাংলাধারা/ফেআ